রায়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ হলো ভারতের সংস্কৃতি মহান। দেশে সব ধর্মই সমান। কোনও ধর্মকেই আলাদা গুরুত্ব দেওয়া যায় না। প্রতিটি ধর্মের উপাসনালয়ের জায়গা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি কাজে যদি কোনও মসজিদের জমি অধিগ্রহণ করতে হয়, তা বাধা দেয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার সব ধর্মই সমানর প্রধান বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। তবে বিচারপতি নাজির ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানান যে, এ মামলা সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হবে না।
১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়। সেই রায়ে আরও বলা হয়েছিল যে, প্রয়োজনে মসজিদের জমি অধিগ্রহণও করতে পারে সরকার। আজ সেই পুরনো রায়ই বহাল রাখেন আদালত।
আদালত আরও জানান যে, এ রায় অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা (মসজিদের না মন্দিরের সে) সংক্রান্ত মূল মামলার রায়কে প্রভাবিত করবে না। সচেতন নাগরিকদের একাংশের মতে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির তৈরি হবে নাকি মসজিদ, এই বহুল আলোচিত মামলার রায়কে ভীষণভাবে প্রভাবিত করবে শীর্ষ আদালতের দেয়া আজকের রায়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া এ রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড ইন্ডিয়া। তাদের চাওয়া ছিল, ‘এ মামলা বিচার ও রায় যাতে সাংবিধানিক বেঞ্চে করা হয়। সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ডের সে আবেদন শীর্ষ আদালত খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: