21 October 2018

লাশের মোবাইল-টাকা চুরিতে ব্যস্ত ছিল একটি চক্র


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এমন ছবি হয়তো কোনও ক্যামেরায় ধরা পড়েনি, কিন্তু আহত এবং মৃতদের পরিজনদের বর্ণনায় অন্তত তেমন ছবিই ভেসে উঠেছে মানসপটেবিপর্যয়ের মধ্যেও এমনই এক ছিনতাইয়ের চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বলে অভিযোগএকাধিক মৃত ও আহতদের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন, দুর্ঘটনার সময় তাদের নিকটজনদের মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে নেয়া হয়েছেটাকা-পয়সা তো বটেই খোয়া গেছে সোনাদানা, মোবাইলও

সতের বছরের ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা জ্যোতি কুমারীতার অভিযোগ, ছেলে সময় গলায় সোনার চেন পরে থাকতকিন্তু যখন মৃতদেহ সরকারি হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর করা হয়, তখন সেই চেন উধাও

জ্যোতি কুমারীর প্রশ্ন, ‘২০ হাজার টাকা দামের মোবাইল না হয় ছিটকে যেতে পারে, কিন্তু পকেটের মানিব্যাগ, সোনার চেন কোথায় গেল?’

কমল কুমারের বছর ১৯ বছরের ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে রেল লাইনের ধারে ওই দশেরার অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেনফিরেছেন সেই বন্ধুদেরই কাঁধে চড়ে, লাশ হয়েকিন্তু তার দামি মোবাইলের কোনও হদিস নেই, দাবি কমল কুমারের

আনন্দবাজার জানায়, এদের না হয় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিলকিন্তু আহতরাও ছাড় পাননি এই দুষ্টচক্রের হাত থেকেছেলে ও মেয়েকে নিয়ে রাবণ পোড়ানো দেখতে গিয়েছিলেন দীপক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিমেয়ে ফেরেনিবাবা-ছেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালেতার মধ্যেও হাসপাতালেই দীপক জানালেন, ‘ট্রেনের ধাক্কায় নড়াচড়া তো দূর, সাহায্যের জন্য চিৎকারও করতে পারছিলাম নাতার মধ্যেই একজন এসে পকেট হাতড়ে মোবাইল, টাকা-পয়সা যা ছিল, সব নিয়ে চলে গেল

চারদিকে কার্যত লাশের স্তূপবাঁচার জন্য আর্তনাদ, গোঙানি, চিৎকারতার মধ্যেও যে কেউ এত নিষ্ঠুর হতে পারে, তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না মৃতদের আত্মীয় এবং আহতরাআবার দুর্ঘটনার পরও সেলফি, ভিডিও তোলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেএমনকী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও এ নিয়ে মুখ খুলেছেন

কাশ্মিরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ টুইটারে লিখেছেন, কি ভয়ানক অমানবিক দৃশ্য! দুর্ঘটনার পরও লোকজন দাঁড়িয়ে ছবি, ভিডিও, সেলফি তুলছেন! প্রায় একই রকম টুইট করেছেন আম আদমি পার্টির নেত্রী প্রীতি শর্মা মেনন-ও


শেয়ার করুন

0 facebook: