![]() |
রজব তৈয়ব এরদোয়ান শীর্ষস্থানে আসার কারণ হিসেবে বলা হয়, এরদোগান ২০১৪ সালে তিনি প্রথম তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। আবার ২০১৮ সালের নির্বাচনেও ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হন।
প্রকাশনায় আরো বলা হয়, রজব তৈয়ব এরদোয়ানের সময়ে তুরস্কে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়। শাসনতান্ত্রিক পুনর্বিন্যাস এবং বৈশ্বিক ক্ষমতাধর শক্তি হিসেবে পুনরুত্থান এগুলোর অন্যতম। তার নেতৃত্বাধীন সময়ে তুরস্ক তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে দারুণ সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। বিশেষত, গ্রীসসহ কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর সাথে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও ভৌগলিক বলয় গড়ে উঠেছে। তার সময়ে আফ্রিকার ২০টিরও বেশি দেশে নতুন অ্যাম্বাসি ও কনস্যুলেট খোলা হয়েছে। ২০১১ সালে সোমালিয়ায় যখন খরা ও দুর্ভিক্ষ শুরু হয় তখন তুরস্ক সেখানে ব্যাপক ত্রাণতৎপরতা চালায়। এসব কারণে তিনি প্রথম স্থান দখল করেন।
শীর্ষ মুসলিমদের তালিকায় ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ৮ম এবং ২০১৮ সালে ৫ম স্থানে ছিলেন তিনি। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল-সউদ ২০১৯ সালের প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ইবনে আল-হুসেইন।
বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকাটি জর্ডানের রাজধানী আম্মান থেকে দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার ২০০৯ সাল থেকে প্রকাশ করে আসছে। ২০১৯ সালের এই মাসে এটার ১০ম সংস্করণ প্রকাশিত হল। বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর মধ্য থেকে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে প্রতি বছর এর নতুন সংস্করণ রেব করা হয়। বিশেষত যাদের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা অন্য কোন ক্ষেত্রে এমন বিশেষ পারদর্শিতা যা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিশেষভাবে প্রভাব ফেলে তাদের নিয়েই এ তালিকা প্রণয়ন করা হয় বলে কতৃপক্ষ জানিয়েছে। সূত্র : ইয়ানি সাফাক।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: