![]() |
সড়কে যানবাহন নেই, বিকল্প বাহনে অতিরিক্ত ভাড়া, দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটেও চলার উপায় নেই। দেশের সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ দুদিনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষের যাত্রা যে কতটা ভোগান্তিতে ফেলছে, তা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ বুঝবে না।
রাজধানীর দক্ষিণখানের বাসিন্দা আয়েশা সিদ্দিকা। তিনি জানান, ‘আমি এদের সড়ক সন্ত্রাসী বলব। তাদের দৌরাত্ম্য এত বেশি বেড়েছে যে যখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সরকার যে আইন করেছে তা জনগণের পক্ষে নয়, এটা তাদেরই পক্ষে গেছে। উল্টো তারাই এখন জনগণকে জিম্মি করছে।’
বাংলামটর মোড়ে অফিসগামী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এভাবে আর কত দিন চলবে। আমরা সাধারণ মানুষ। অফিসে ঠিক সময় না যেতে পারলে বসের বকা খেতে হবে। ভিন্ন কোনো পরিবহনে যাওয়ার উপায় নেই। অনেক ভাড়া হাঁকাচ্ছে তারা।’ রাজধানীসহ সারা দেশের অসংখ্য মানুষ এভাবেই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘শ্রমিকরা সড়ক পরিবহন আইন না বুঝেই কর্মবিরতি পালন করছেন।’ তিনি কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে সড়ক পরিবহন আইন পরিবর্তন (সংশোধন) করে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব না।’ পরিবহন নেতারা জানিয়েছেন, মন্ত্রীরা কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও তাদের আলোচনায় ডাকেননি। তাই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সোমবারও কর্মবিরতি পালন করা হবে।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: