আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় রীতি অনুসারে এক মিসরীয় নারীকে বিয়ে করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২ অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে বিয়ের কাগজপত্র আনতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি খাশোগি। পরবর্তীতে তাকে পূর্বপরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে সৌদি কৌঁসুলিরা।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মিসরীয় ওই নারীকে বিয়ে করার কথা নিজের পরিবার ও তুর্কি বাগদত্তার কাছে গোপন রেখেছিলেন খাশোগি।
এক সাক্ষাতকারে ওই নারী বলেন, একজন মুসলিম নারী হিসেবে আমি নিজের পূর্ণ অধিকার ও স্বীকৃতির দাবিতেই খাশোগির সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছি। নিরাপত্তার কথা ভেবে নিজের নামের আদ্যাক্ষর ও শেষাংশ প্রকাশ করতে রাজি হয়েছেন ওই মিসরীয় নারী। যা হচ্ছে, এইচ. এবং আতার।
এক্ষেত্রে বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে থাকা খাশোগির দীর্ঘ সময়ের এক সঙ্গীও এই নারীর বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিরাপত্তার কারণে তিনিও নিজের নাম প্রকাশ করেননি।
তবে এ বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকার জানিয়েছে খাশোগির পরিবার। নিহত এ সাংবাদিকের তুর্কি বাগদত্তা খাদিজা সেনগিজ বলেছেন, এ বিয়ে নিয়ে তিনি কিছু জানেন না। মিসরীয় ওই নারীর উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
খাদিজা বলেন, ওই নারীর সম্পর্কে খাশোগি কখনো আমাকে কিছু বলেননি। মানুষ জামাল খাশোগি সম্পর্কে যে ধারণা রাখেন, ওই নারী কেনো সেটা ভাঙতে চাচ্ছেন? তার সুনাম নষ্ট করতেই এমনটা করা হচ্ছে বলে মনে করেন খাদিজা।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: