জেলা প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করে বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগের মামলায় মোহাম্মদ মনির নামের এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল গতকাল বুধবার এই রায় দিয়েছেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলমগীর হোসেন ও শীল সুব্রত নামের দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
টাঈাইলের নাগরপুর উপজেলার কেদারপুর বাজারে মনির টেলিকম নামের একটি দোকান দিয়ে মোহাম্মদ মনির ব্যবসা করতেন। সেখানে থেকে তিনি বিভিন্ন মোবাইল ফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ছবি বিকৃত করে বিভিন্ন মোবাইল সেটে দিতেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বিকৃত করা অশ্লীল ছবি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার উত্তর রৌহান গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন বিভিন্ন ব্যক্তিকে দেখাতে থাকেন। এরপর পুলিশ আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মনিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় চারজনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় মামলা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন—আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মনির, শীল সুব্রত ও প্রভাত চন্দ্র সরকার। ২০১৪ সালের ২০ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় প্রভাত চন্দ্র সরকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
মামলার আসামিরা হলেন—আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মনির, শীল সুব্রত ও প্রভাত চন্দ্র সরকার। ২০১৪ সালের ২০ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় প্রভাত চন্দ্র সরকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
0 facebook: