প্রতিকি ছবি |
জানা গেছে গোয়ালবাড়ীর সুমি (ছদ্মনাম) (১৬) এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে বিদ্যালয়ে কোচিং করতে যাচ্ছিল। পথে প্রতিবেশী হেলাল জরুরি কাজের কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। কিশোরীটি নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে বিবস্ত্র অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে আরেক প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হেলাল উদ্দিন (৪২)। ওই কিশোরীর সহপাঠীরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম কচুরগুল গ্রামে হেলাল বাড়ি। এ ব্যাপারে জুড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানায়, ওই ছাত্রীকে নিয়ে বসতঘরে ঢোকার পর হেলাল দরোজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছাত্রী বিবস্ত্র অবস্থায় দরোজার সিটকিনি খুলে দ্রুত আরেক প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এরপর সে সেখানে অচেতন হয়ে পড়ে।
এ সময় খবর পেয়ে স্বজনেরা ছুটে এসে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় পাশের কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার সময় হেলাল উদ্দিন বাড়িতে একা ছিলো। তার স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে সম্প্রতি বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার পর হেলাল উদ্দিন বাড়ির পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে। এদিকে ছাত্রীর ওপর নির্যাতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা জঙ্গল ঘেরাও করে হেলাল উদ্দিনকে ধরে বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সেখানে গেলে তাকে তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা হেলালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করলে পুলিশ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। বিকেল পাঁচটার দিকে ওই শিক্ষার্থীর বাবা হেলাল উদ্দিনকে আসামি করে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন।
এলাকাবাসী জানায়, হেলাল উদ্দিন দীর্ঘদিন অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে ছিলো। বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি না পেয়ে চার-পাঁচ বছর আগে সে দেশে ফিরে আসে। কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রী খুব ভয় পেয়েছে। সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।’ জুড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলাল ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হবে।’
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
মৌলভীবাজার
0 facebook: