![]() |
ফাইল ছবি |
দলীয়
নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে
বলছেন, তারা কেন্দ্রে ভোট দিতেই যাবেন না। এ
প্রসঙ্গে গতকাল সোমবার বিকালে ফোনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউকে প্রার্থী হওয়ার পারমিশন দেয়া হয়নি। বগুড়ায় মাফতুন আহমেদ
খান রুবেলসহ আর কেউ প্রার্থী থাকলে তারা ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার করে নেবেন।
এরপরও কেউ নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপির
নেতাকর্মীরা জানান, সম্প্রতি বগুড়ায় সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,
ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও অন্যান্য নেতারা বলেছেন- তারা এ সরকার এবং নির্বাচন
কমিশনের অধীনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তাই বগুড়ার ১২ উপজেলায় বিএনপি
ও জামায়াতের চেয়ারম্যানদের মধ্যে ১১ জন আগামী ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা
পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেননি। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা চেয়ারম্যান,
ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।.
এ
ব্যাপারে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন
বিশেষ জরুরি সভা ডেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে নির্দেশ দেন। এছাড়া প্রতিটি কমিটির
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিত চিঠি দিয়েছেন।
শুধু
তাই নয়, কার্যালয়ে প্রার্থীদের নিয়ে সভা করায় শহর বিএনপি সভাপতি মাহবুবর রহমান বকুল
ও সাধারণ সম্পাদক হিরু চৌধুরীকে কারণ দর্শানো নোটিশ করা হয়। এরপরও বিএনপির নেতারা
‘কেন্দ্রীয় সবুজ সংকেত আছে’ এমন অজুহাতে নির্বাচন থেকে সরে যাননি।
জেলা
বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন বলেছেন, কেউ এ নির্দেশ অমান্য করলে তাদের
বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিএনপির
কেন্দ্রীয় ও জেলা শাখার নির্দেশ অমান্যকারী প্রার্থীদের কয়েকজন হলেন বগুড়া সদর উপজেলায়
চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান
পদে সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহিদুল ইসলাম গফুর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা
মহিলা দল সভানেত্রী নাজমা আকতার, শাজাহানপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির
আহবায়ক আবুল বাশার, যুবদল সভাপতি এনামুল হক শাহীন, শিবগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে
উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী বিউটি বেগম, সারিয়াকান্দি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান
চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান হিরু মণ্ডল, অ্যাডভোকেট নূরে আযম বাবু, সোনাতলায় উপজেলায়
জিয়াউল হক লিপ্পন, নন্দীগ্রামে অ্যাডভোকেট রাফি পান্না, আহসান বিপ্লব রহিম, আলেকজান্ডার
ও মাহফুজুর রহমান, কাহালুতে ফরিদুর রহমান ফরিদ ও হুমায়ুন কবির খোকা, ধুনটে আলিমুদ্দিন
হারুন ও আকতার আলম সেলিম, গাবতলীতে একিউএম ডিফেন্স সুমন, শফিকুল ইসলাম ভোদন এবং এহসানুল
বাশার প্রমুখ।
এ
প্রসঙ্গে সদরের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাফতুন আহমেদ খান রুবেল কোনো সাক্ষাৎকার দিতে রাজি
হননি। মহিদুল
ইসলাম গফুর জানান, ভোটে অংশ নিতে ‘আনঅফিসিয়ালি’ নির্দেশ আছে। শাজাহানপুরের
আবুল বাশার জানান, নির্বাচন না করতে কেউ কিছু বলেনি, বাধাও দেয়নি। জেলা বিএনপির কোনো
চিঠিও পাননি।
0 facebook: