হায়দার বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধে তৈরির পাশাপাশি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে তসবিটি তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, পুঁতি দিয়ে তৈরি এটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ এবং ওজনে ভারী তসবি। এর স্বীকৃতির জন্য তিনি ১২ মার্চ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করেছেন।
হায়দার নবীনগরের জালশুকা গ্রামের শরীফ আবদুল্লাহ হারুন ও খোশ নাহার বেগমের ছেলে। তিনি রাজধানীর উত্তরার দারুল এহসান কলেজ থেকে হিসাববিদ্যায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন।
মুসলিমরা দোয়াদরুদ পাঠের জন্য তসবি ব্যবহার করে থাকেন। এর মাধ্যমে কতবার দোয়াদরুদ পাঠ করা হলো তার হিসাব রাখা যায়।
পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, পুঁতি দিয়ে তসবি তৈরির কাজে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন হায়দারের বন্ধু আরিফুল ইসলাম। মা খোশ নাহার বেগম ও বড় ভাই আল মামুন পুঁতি গণনার কাজে সহযোগিতা করেছেন। বোন লাইলি বেগম এবং আবদুল্লাহ আল হাসান ও আবদুল্লাহ আল মনসুর নামের ফ্রান্সপ্রবাসী দুই বড় ভাই এতে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এটি তৈরি করতে দেড় লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রায় দুই মাস সময় লেগেছে।
হায়দার বলেন, ‘পড়াশোনা শেষ করে বাড়িতে অলস সময় কাটাচ্ছিলাম। ব্যতিক্রম কিছু করার মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার জন্য বিশেষ কিছুর পরিকল্পনা করি। এরপর তসবি তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চিন্তা মাথায় আসে। মায়েরও অনুমতি পেয়ে যাই। এরপর থেকে কাজ শুরু করি।’
হায়দার জানান, গত ২ জানুয়ারি থেকে তিনি তসবিটি তৈরি শুরু করেন। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় ধরে পুঁতি গাঁথতেন। এক হাজার পুঁতি গাঁথতে এক ঘণ্টা লাগত। এতে কালো, সাদা, সবুজ ও সোনালি রঙের পুঁতি ব্যবহার করেন হায়দার। পাকিস্তানে ৬০ কেজি ওজনের একটি তসবি রয়েছে বলে তিনি ইন্টারনেট ঘেঁটে জেনেছেন। সেই হিসাবে তাঁর তৈরি তসবিটি দৈর্ঘ্যে ও ওজনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ।
আবদুল্লাহ আল হায়দারের আশা, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি পেলে তসবিটি তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে উপহার দিতে চান। তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে তাশামালিজার সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় এশিয়া-ইউরোপের সবচেয়ে বড় মসজিদ ‘তাশামালিজা’ নির্মাণ করার কারণে তিনি তসবিটি রজব তৈয়ব এরদোয়ানকে উপহার দিতে চান।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির কক্ষের মেঝেতে কাপড়ের ওপর বিশাল আকৃতির তসবিটি রাখা। এটি দেখতে অনেক উৎসুক মানুষ বাড়িটিতে ভিড় করছে। তারা ঘুরে ঘুরে তসবিটি দেখছে।
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
ধর্ম ও জীবন
0 facebook: