এ ঘটনার প্রেক্ষিতে লন্ডন সেন্ট্রাল মস্ক নামের মসজিদটি বন্ধ করে দিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মসজিদ প্রাঙ্গণে দুইজনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ বলছে, তারা কাউকে গ্রেফতার করেনি।
লন্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছুরিকাঘাতের শিকার ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ২০ বছর। তাকে রিজেন্ট পার্কের কাছে অবস্থিত ক্যানিংহ্যাম প্লেসে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার পরে পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয় ‘লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পার্যামেডিকস’র সহায়তায়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর ভুক্তভোগী মারা যায়। এই হত্যাকাণ্ডের সূত্রে পার্শ্ববর্তী মসজিদে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের যেমন মসজিদের সিঁড়িতে কিছু খুঁজতে দেখা গেছে তেমনি দেখা গেছে মসজিদটির পেছনের দিককার প্রাঙ্গণে তল্লাশি চালাতে। রাত ১১টাতেও তাদের তৎপরতা অব্যাহত ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানিয়েছেন, তিনি মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে দুইজনকে ধরে নিয়ে যেতে দেখেছেন। কিন্তু লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, তারা কাউকে গ্রেফতার করেনি। সন্দেহভাজনদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ ঘটনাকে তারা সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে না।
প্রত্যক্ষদর্শীদের আরেকজন বাহির মওলানা (৩৯) বলেন, মসজিদে ঢোকার সময় পুলিশ সবাইকে সেখান থেকে দূরে সরে যেতে বলছিল। প্রথমে মসজিদের সামনে এত পুলিশের গাড়ি দেখে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। নিউ জিল্যান্ডের হামলার মতো কোনও হামলার আশঙ্কা করছিলেন তিনি।
বাহির মওলানা আরও বলেন, ‘আমাকে একটি মেয়ে বলেছে, সে দুইজনকে ছুটে পালিয়ে যেতে দেখেছে। আবার আরেকজন আমাকে বলেছে, পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করছিল। মসজিদ থেকে পুলিশ দুইজনকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে গেছে। আর এ ঘটনা ঘটেছে সন্ধ্যা সাতটার দিকে।’
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
0 facebook: