![]() |
প্রতিকি ছবি |
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ স্ত্রী ও ছেলে সন্তোষকে নিয়ে বলাঙ্গির জেলার রাধাবাহালা গ্রামে বসবাস করেন রুশি খারসেল। প্রথমে কোনো সমস্যা না থাকলেও পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে কয়েকদিন ধরে সমস্যা চলছিল বাবা ও ছেলের মধ্যে। শনিবার সেই সমস্যা চরম আকার ধারণ করে। বচসার মাঝে বাবাকে একটি কাঠের টুকরো দিয়ে মারধর করে সন্তোষ। তারপর বিছানায় শয্যাশায়ী থাকা মায়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে রুশির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে রুশি খারসেলের ছেলে সন্তোষকে। সেই সঙ্গে এই ঘটনার পিছনে আরো কোনো কারণ রয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ।
এই ব্যাপারে বেলপদা থানার কর্মকর্তা সচিদানন্দ বারিয়া বলেন, শনিবার সকালে এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে সন্তোষ নামে এক ব্যক্তি নিজের মাকে পুড়িয়ে মেরেছে। এরপরই ঘটনাস্থলে যাই আমরা। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, সাতবছর ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী ছিলেন রুশির স্ত্রী। শনিবার বাবার সঙ্গে ঝগড়ার জেরে তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে ছেলে সন্তোষ।
সচিদানন্দ বারিয়া আরো বলেন, শুধু তাই নয়, এই ঘটনার আগে একটি কাঠের টুকরো দিয়ে রুশিকে মারধর করে সে। পরে ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায়। ছেলে পালানোর পরেই বাড়ির বাইরে এসে প্রতিবেশীদের পুরো বিষয়টি খুলে বলেন রুশি। তারপর তাদের সহযোগিতায় স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বর্তমানে মৃতের স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তও চলছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: