![]() |
স্টাফ
রিপোর্টার॥ বিগত কয়েক বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও
আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করে আসছেন,
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল। শেখ হাসিনা এখন কথায় কথায়
বলেন-বিশ্বনেতারা আমাকে দেখলেই বলেন, আপনার ম্যাজিকটা কি? এত উন্নয়ন
কিভাবে করছেন? শেখ
হাসিনার ভাষায়-এদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লোকজন আগে চিনতো না। তার দল ক্ষমতায়
আসার পরই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সুনাম বেড়েছে। তার ভাষায়-আওয়ামী লীগ আনে সুনাম আর
বিএনপি আনে দুর্নাম।
যদিও
বিরোধীদলসহ দেশের অধিকাংশ মানুষ শেখ হাসিনার এসব কথা নিয়ে হাসি মশকরা করে। তারা বাংলাদেশকে
বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে মানতে নারাজ। সরকারের সব উন্নয়নই বায়ুবীয়। শুধু লুটপাটের জন্যই
সরকার প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করছে।
তবে, উন্নয়নের
দিক থেকে না হলেও খুন, হত্যা, গুম, অপহরণ
আর ধর্ষণের দিক থেকে যে বাংলাদেশ সারাবিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল এতে কোনো সন্দেহ
নাই।
আমরা
যদি যতটুকু জানি, অশ্লীল, বেহায়াপনা, ধর্ষণ, ব্যাভিচার
এগুলো ওয়েস্টার্ন দেশগুলোতে
বেশি হয়। তাদের দেশে এগুলো কোনো অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না। কারণ তাদের
ভাষায় এসব হলো-ফ্রি সেক্স।
কিন্তু, এখন যদি
তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের এসব অপরাধ তুলনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে ধর্ষণ-নির্যাতনে আমরা
সকলকে ছাড়িয়ে গেছি। বিশেষ করে শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাগুলো। এই ধর্ষণ এখন
সারাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মেয়েদের নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মা-বাবারা। আন্তর্জাতিক
মিডিয়াগুলোতেও অন্য কোনো দেশে এত ধর্ষণ হয় বলে কোনো সংবাদ প্রকাশ হয়নি।
রাজধানীর
ওয়ারীতে সর্বশেষ যে ধর্ষণের ঘটনাটা ঘটেছে তা দেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। সাত বছরের
শিশু সায়মাকে যেভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, এ থেকে বাংলাদেশকে আর কোনো সভ্য দেশ বলা
যায় না।
বেসরকারি
প্রতিষ্ঠান মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন বলেছে, চলতি বছরের গত ৬ মাসে সারাদেশে ৪ শিশু ধর্ষণের
শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের পর ১৬টি শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সংস্থার
আরেকটি তথ্য মতে, ২০১৮
সালে ৪৩৩ জন শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর ধর্ষণ নির্যাতনের পর মারা গেছে ২৭১টি শিশু।
বাংলাদেশ
শিশু অধিকার ফোরামের মতে,
২০১৭ সালে সারাদেশে ৫৯৩টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর ২০১৬ সালে
ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৪৬টি শিশু।
দেখা
গেছে, আওয়ামী
লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশে খুন-ধর্ষণ বেড়ে যায়। সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী বলেছেন, ১৯৯৮
সালে যখন তিনি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কাজ করতেন তখনো এমন ভয়াবহ আকার ছিল।
যা এখনো হচ্ছে।
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকসহ সচেতন মহল বলছেন,
বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল, তবে উন্নয়নের দিক থেকে নয়। বাংলাদেশ এখন
হত্যা গুম খুন ধর্ষণের রোল মডেল।
এদিকে
দৈনিক স্বদেশ বার্তার জরীপে দেখা গেছে যে হাক্বিকী কুরআন সুন্নাহর সাথে সম্পর্কহীন নামধারী
ধর্মীয় প্রতিষ্টানগুলীতেও ধর্ষণ রোগ দেখা দিয়েছে, এর মধ্যে কওমীপন্থি মাদ্রাসা আর
তাদের মুহতামিম/শিক্ষকরা এগিয়ে, তাদের হাতে শিশু ছাত্রি, কিশোরী, যুবতিরা ই নয়
এমনকি বাচ্চা ছেলেরাও পর্যন্ত বলৎকার এবং খুন পর্যন্ত হচ্ছে, অনেক বিজ্ঞজনের মতে,
এসব ধর্মীয় প্রতিষ্টান মূলত ইসলামিক শরিয়ত ফলো করে মাদ্রাসা পরিচালনা করছেনা যার
কারণে এসব কওমীপন্থি তাক্বওয়াহীন বেপর্দা আলেম দ্বারা জিনা ব্যবিচার বেড়েই চলেছে,
অনেকেই এইকারনে আতঙ্কে আছেন, অনেকে পরামর্শ দিচ্ছেন যে মেয়েদের কেবল সঠিক সহিহ
আক্বিদা পন্থী আহলুল সুন্নাহ’র অনুসরন করে
পরিচালিত মাদ্রাসায় শিশু বাচ্চাদের দেওয়া যেতে পারে যেখানে কেবলি মহিলা শিক্ষক
দ্বারা দ্বিনী শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এদেশে এরূপ প্রতিষ্টান হাতে গোনা কয়েকটা
থাকতে পারে, এর বেশি নয়।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
আওয়ামীলিগ
কওমী সমাচার
ধর্ষণ
0 facebook: