![]() |
আলমগীর হোসেন উপজেলার ঝাঁপা মিস্ত্রি পাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। এর আগেও মানবপাচার মামলায় তিনি জেল খেটেছেন। আর ওই ছাত্রীর বাড়ি উপজেলার হানুয়ার গ্রামে। সে চালুয়াহাটি ইউনিয়নের ল²ণপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহমুদ হাসান জানান, আলমগীর আগেও তিনটি বিয়ে করেছে। সে সরকারি চাকরি করে এই পরিচয় দিয়ে মোবাইলে মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। মেয়েদের ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে ভারতে পাচার করাই তার পেশা। দুইমাসে আগে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এই ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ হয় তার।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে মাদরাসা ছুটির পর তাকে অপহরণ করে ভারতে পাচারের উদ্দেশে বেনাপোলের পাঁচভুলোট সীমান্তে নিয়ে যায় সে। চলাফেরায় সন্দেহ হওয়ায় ওই দিন গভীর রাতে স্থানীয়রা তাদের দুই জনকে ধরে ফেলেন। পরে নাম ঠিকানা নিয়ে তাদের বাড়িতে ফোন করেন সেখানকার লোকজন। খবর পেয়ে ঝাঁপা ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক মন্টু, ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদসহ পুলিশ গিয়ে তাদের হেফাজতে নেয়।
এএসআই মাহমুদ হাসান আরও জানান, ১৫ দিন আগে মানবপাচার মামলায় জেল খেটে জামিনে ছাড়া পায় আলমগীর। জেল থেকে বেরিয়ে ওই মাদরাসা ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আবারও পাচার কাজে নামে সে। মেয়েটিকে যার কাছে পাচার করছিল তার নিকট থেকে ইতিমধ্যে ১৩ হাজার টাকা নিয়েছে আলমগীর।
এদিকে আলমগীর জানায়, তার তিন স্ত্রীর মধ্যে তৃতীয় স্ত্রী শ্যামলী বর্তমান আছেন। তিনি পারখাজুরা গ্রামে পিতা সাদেক আলীর বাড়িতে থাকেন। দুই মাস আগে এই ছাত্রীর সাথে তার যোগাযোগ হয়। ভারতে গিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে সে নতুন সংসার পাততে চেয়েছিল। ভারতে যার কাছে আশ্রয় নেবে তার কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা ধার নিয়েছে সে, পাচারের উদ্দেশে নয়।
মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক বলেন, মাদরাসাছাত্রীকে ভারতে পাচারের ঘটনায় শুক্রবার রাতে পাচারকারী আলমগীরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার আলমগীরকে দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
0 facebook: