মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলার মাজেদুল শেখ (৩৫), মো. দিপুল (২২) ও মো. আশরাফুলকে (২৫)। মামলায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে মাজেদুল ও দিপুলকে মামলার আগের দিন শুক্রবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে আশরাফুল ঘটনার পর থেকে পলাতক।
ঘটনার শিকার নারী অভিযোগ করেন, গত ২৮ জুন রাতে নিজের বাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। পরদিন সকালে শ্রীপুর থানায় গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বরং সেই সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাঁকে হয়রানি করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের পর বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। এরপর শুক্রবার বিকেলে ওই নারীর বাড়ি গিয়ে তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমের কারণেই বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে। ইতিমধ্যে মামলা এজাহারভুক্ত হয়েছে। দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। পলাতক আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলাটির তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি নাসির উদ্দিনকে দেওয়া হয়েছে।
তবে শ্রীপুরের ওসির বিরুদ্ধে ঘটনার শিকার নারীকে হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, জানতে চাওয়া হয় মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ানের কাছে। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্রঃ প্রথম আলো
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
ধর্ষণ
0 facebook: