19 July 2019

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া মৃত্যুর ১৪ দিন পর কবর থেকে তাসলিমার লাশ উত্তোলন


মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে স্কুলছাত্রী কুলসুমা বেগম তসলিমার (১৬) মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য দাফনের ১৪ দিন পর তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মৌলভীবাজারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেছার উদ্দিনের উপস্থিতিতে পুলিশ তসলিমার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে।

উত্তোলনকৃত তাসলিমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান।

স্কুলছাত্রী কুলসুমা বেগম তসলিমা (১৭) মৃত্যু নিয়ে নানা বির্তক সৃষ্টি হয় কুলাউড়ায়। মৃত্যুর রহস্য নিয়ে ১২ জুলাই দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ১৮ পৃষ্ঠায় ‘কুলাউড়ায় স্কুল ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ।

মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কাগজপত্র চাইলে তা দেখাতে ব্যর্থ হয় মেয়েটির পরিবার। ফলে পুলিশ লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদালতে আবেদন করে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়।

নিহত স্কুলছাত্রীর পরিবারের দাবি, স্ট্রোক করে মৃত্যু হয় স্কুলছাত্রী তাসলিমার। স্কুলছাত্রীর মুত্যুর পর দ্রুততার সঙ্গে দাফন সম্পন্ন করে তার পরিবার। এতে সন্দেহ দেখা দেয় স্থানীয়দের মাঝে।

স্থানীয়দের কেউ কেউ জানিয়েছেন মৃতদেহের শরীরের গলায় এবং গালে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাদের ধারণা তাসলিমাকে হত্যা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী কুলসুমা বেগম তাসলিমা। ৪ জুলাই বেলা ১১টার দিকে স্কুল ড্রেস পরিহিত ও স্কুলব্যাগসহ তাসলিমা বরমচাল রেলস্টেশন সংলগ্ন কালামিয়ার বাজারের একটি বাসায় প্রেমিক নওমুসলিম আবদুল আজিজের সঙ্গে দেখা করতে যায়।

বিষয়টি বাজারবাসীর সন্দেহ হলে গ্রামপুলিশ কয়ছর মিয়াসহ ব্যবসায়ীরা ওই বাসায় যান। বাসায় গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করার পর ব্যবসায়ীরা গ্রামপুলিশ কয়ছর মিয়াকে দিয়ে তাসলিমাকে মহলাল (রফিনগর) গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

ঘটনার দিন বিকাল ৫টার দিকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ির লোকজন তাসলিমাকে নিয়ে বেরিয়ে যান। রাতে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আবার ফেরৎ আসেন।

নিহতের পরিবার তাসলিমার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। পরদিন শুক্রবার এলাকায় মাইকিং করে বেলা ১১টার দিকে দাফন করা হয়। তথ্যঃ যুগান্তর


শেয়ার করুন

0 facebook: