সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত কৃষ্ণ কুমারী স্কুলে প্রসাদ বিতরণ করে ইসকন কর্মীরা। ওই স্কুলে তখন ৮০০ ছাত্রী উপস্থিত ছিল। শিক্ষার্থীরা জানান, ইসকনের কর্মীরা তাদের প্রসাদ গ্রহণ করার আগে মন্ত্র পাঠ করতে বলে। হিন্দু শিক্ষার্থীদের অনেকে মন্ত্র পাঠে খাবার গ্রহণ করলেও মুসলিম এবং বৌদ্ধ মেয়েদের অনেকে তাতে বিরক্তি প্রকাশ করে। অনেকে খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহমেদ হোসেন বলেন, রথযাত্রা উপলক্ষে ইসকনের কর্মীরা স্কুলের ছাত্রীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে। শিক্ষার্থীদের অনেকে ইসকন কর্মীদের শেখানো নিয়ম অনুযায়ী এ খাবার খেয়েছে। তবে অনেকে খাবার খায়নি।
মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের মাঝেও ইসকন কর্মীরা প্রসাদ বিতরণ করেছে। তাদের অনেকে খেয়েছেও। অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরী বলেন, প্রসাদ বিতরণ করা হবে বলে ইসকনের পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়। তবে আমি সিটি কর্পোরেশন অথবা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে বলি। জেলা প্রশাসক তাদের মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন বলে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়। আমি তাদের লিখিত অনুমতি দেখাতে বলি। তারা তা দেখাতে পারেনি। এর পরদিন তারা স্কুলে খাবার নিয়ে আসে। তখন স্কুলে ক্লাস শুরু হয়নি। এ অবস্থায় কৃষ্ণ কুমারী স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে আমার স্কুলের কিছু শিক্ষার্থীও ওই খাবার গ্রহণ করেছে। চট্টগ্রাম সরকারি হাই স্কুলেও এ ধরনের প্রসাদ বিতরণ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই স্কুলে আমার ছেলে পড়ে। সে এ খাবার গ্রহণ করেনি।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এ সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের ফুড ফর লাইফ’-এর উদ্যোগে রথযাত্রা উপলক্ষে নগরীর ৩০টিরও অধিক স্কুলে প্রায় ৩০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা এসব প্রসাদ গ্রহণ করে। কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, পাথরঘাটা সিটি কর্পোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল, সিটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুসুমকুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জে এম সেন স্কুল, কৃষ্ণ কুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পাথরঘাটা মেনকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, অপর্ণাচরণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বান্ডেল সাবিত্রী সুধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রসাদ বিতরণ হয়। প্রসাদ বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ইসকন চট্টগ্রামের লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী ও দারুব্রহ্ম জগন্নাথ দাস। কর্মসূচি পরিচালনা করেন ফুড ফর লাইফের পরিচালক পান্ডব গোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী, রামানন্দ দাস, প্রাণেশ্বর পরমাত্মা দাস।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: