20 July 2019

উগ্রপন্থী হিন্দুরা যাদের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে আজ মাথায় উঠেছেঃ নয়ন চ্যাটার্জি


ছবিঃ ইসকনী হিন্দু ছাত্রীর হাতে কেক খাচ্ছে বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম।

সম্প্রতি ইসকন কর্তৃক চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে প্রসাদ বিতরণের সময় হরে কৃষ্ণ শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে সারা দেশব্যাপী তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ নিন্দার পর, বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কথিত মুসলিম আশরাফুল আলম তার দায় সারতে, ফেসবুক আইডিতে পুরো ঘটনা অস্বীকার করে বলেছে, যারা শ্লোগান দিচ্ছিলো তারা সবাই হিন্দু, সেখানে কোন মুসলমান ছাত্রী ছিলো না। যদিও শ্লোগান দেয়ার সময় লাস্ট বেঞ্চে এক ছাত্রীকে দেখা যায় মাথায় হিজাব পরিহিতা। অবশ্য এক্ষেত্রে ঐ শিক্ষকের উত্তর- আমাদের স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক (!)।

কথায় বলে- কিছু সময় কিছু মানুষকে ধোঁকা দেয়া যায়, কিন্তু সব মানুষকে সব সময় ধোকা দেয়া যায় না।

আশরাফুল আলম কতটা নিলজ্র্জ হলে, প্রকাশ্য ধরা খেয়েও আবারও ফের ধোকা দিতে চাইছে। ছিঃ।

মূলত আশরাফুল আলমরা বহুদিন ধরে মুসলমান হয়েও হিন্দুদের অনৈতিক কাজগুলোতে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে আসছিলো। এমনকি এসব ক্ষেত্রে তারা স্বজাতি মুসলমানদের বিরুদ্ধচারণ করতে কখন পিছু হটেনি। আশরাফুল আলমদের আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে হিন্দুরা এখন দেশের বাইরে গিয়ে বহিঃশত্রুদের দেশে আক্রমণ করতে ডাক দেয়, নিজে নিজের বাড়িতে আগুন দিয়ে সেই দোষ মুসলমানদের উপর চাপায় আবার বিদেশে গিয়ে প্রচার করে।

সত্যি বলতে, আমাদের সমাজে হিন্দু তোষক আশরাফুল আলমদের অভাব নেই। এদের তোষনের পেছনে আর্থিক লেনদেন থাকতে পারে, আবার কেউ কেউ গোপনে হিন্দুদের বিপরীত লিঙ্গের বিশেষ সুবিধাও পায়। সে কৃতজ্ঞতা রাখতেই হয়ত নিজ দেশ ও জাতির সাথে বেঈমানি করে।

আপনারা খেয়াল করেছেন কি না জানি না, এই যে ইসকন বা প্রিয়া সাহা এত বড় অন্যায় করলো, কিছু হিন্দুকে কি দেখেছেন প্রিয়া বা ইসকনের বিরোধীতা করতে? প্রিয়া বা ইসকন দৃশ্যত অন্যায্য কাজ করলেও তারা তাদের স্ব-জাতি হিসেবে সেই অন্যায় ও অন্যায্যকেই সাপোর্ট করলো। সে দৃষ্টিকোণ থেকে হিন্দুরা অবশ্যই স্বাজাতি প্রেমিক ও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।

কিন্তু অবাক করার মত বিষয়, অনেক নামধারী মুসলমান অধিকাংশ সময় হিন্দুদের সাপোর্টে থাকে, এবং হিন্দু তোষণকেই সবচেয়ে বড় মনে করে। মুসলমানদের মধ্যে এই লোকগুলোর কারণে মুসলমানরা শত্রুর বিরুদ্ধে এক হতে পারে না, এবং অন্যজাতির অন্যায়ের প্রতিবাদও করতে পারে না, যার দরুণ ব্হু সংখ্যক হয়েও আজ সারা বিশ্বে মুসলমানরা নির্যাতিত ও নিপীড়িত।

অনেকে হয়ত উদ্ধত্য হিন্দুদের বিরুদ্ধে বলছেন, আমি তাদের বলবো- শুধু হিন্দু নয়, যে সব মুসলমান নামধারীর পৃষ্ঠপোষকতায় আজ হিন্দুরা মুসলমানদের ঘাড়ে চেপে বসেছে, তাদের বিরুদ্ধেও বলা উচিত, শাস্তি চাওয়া উচিত, জাতির সাথে বেঈমানি করার জন্য ফাঁসিতে ঝুলানো উচিত। মনে রাখবেন আমাদের দেশের হিন্দুরা হলো পরজীবির মত, তারা অবশ্যই কোন না কোন পোষকের উপর ভর করে বেচে আছে। পোষককে সরিয়ে দেন, দেখবেন পরজীবিও দ্রুত ধরাশায়ী হয়ে গেছে।


শেয়ার করুন

0 facebook: