![]() |
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে অপর্না সেন দেশে ঘটে যাওয়া লিঞ্চিং কিংবা গোরক্ষার মত ঘটনা নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, ‘দেশ জুড়ে কোথাও গোমাংস খাওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে, কোথাও জয় শ্রী রাম না বললে পেটানো হচ্ছে, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এগুলো কী ধরনের ঘটনা?”
এদিন তিনি বলেন, ‘কেন একজন ভিন্ন ধর্মের মানুষকে জোর করে জয় শ্রী রাম বলানো হবে? আমি একজন হিন্দু, আমাকে যদি কেউ জোর করে আল্লাহু আকবর বলতে বাধ্য করে, তাহলে আমার কেমন লাগত?’
অভিনেত্রীর মতে, জয় শ্রী রাম, আল্লাহু আকবর, জয় বাংলা, জয় কালী কিংবা জয় মহাদেব। সবকিছুই বলার অধিকার আছে মানুষের। তবে ভালোবেসে বলানো উচিৎ, জোর করে নয়।
দেশ জুড়ে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে উৎকন্ঠায় আছেন বলেই ওই চিঠি দিয়েছেন বলে জানান তিনি। অপর্না সেন আরও বলেন, দেশে দলিত ও সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হচ্ছে। সেই দাবি পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ তথ্য ও পরিসংখ্যানও দিয়েছেন বলে জানান অপর্না। বিশ্বস্ত সূত্রেই সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশকে ভালোবাসেন বলেই, দেশের ব্যাপারে খেয়াল রাখেন বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ওই ৪৯ জন একাধিক সামাজিক বিষয়ে উল্লেখ করেছেন এই চিঠিতে৷ সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিতে আর্জিও জানিয়েছেন৷ চিঠিতে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্যের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবরের মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে ২৫৪ জনকে অপরাধী, ৯১-এর হত্যা, ৫৭৯ জন আহত হয়৷ চিঠি অনুযায়ী, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে যখন নরেন্দ্র মোদী ছিলেন তখন এমনই অপরাধের মাত্রা ছিল ৯০ শতাংশ৷
এই চিঠিতে যেমন তারকারা রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন সমাজকর্মী, কার্ডিওলজিস্ট, লেখক, ঐতিহাসিক, সাধারণ নাগরিক, মোটা ৪৯ জন৷ চিত্র পরিচালক কেতন মেহতা, অঞ্জন দত্ত, অনুপম রায়, আদুর গোপালকৃষ্ণণ, রূপম ইসলাম, ঋদ্বি সেন, ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ, সংগীতশিল্পী শুভা মুদগল প্রমুখরা সই করেন এই চিঠিতে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
ভারত
0 facebook: