01 August 2019

রবিন্দ্রের ‘আমার সোনার বাংলা’র চেয়ে প্রিন্সের ‘বাংলাদেশ’ গানটি দেশকে বেশি ফোকাস করেঃ নোবেল


স্টাফ রিপোর্ট।। ভারতীয় হিন্দু বিচারকদের নোংরা মানসিকতার জন্য শেষ পর্যন্ত তৃতীয় হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশের মুসলিম যুবক মাঈনুল আহসান নোবেলকে।

ভারতের জি বাংলার গানবিষয়ক রিয়েলিটি শো সা রে গা মা পা-২০১৯তে প্রীতমের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় রানার্সআপ অর্থাৎ তৃতীয় হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে বাংলাদেশের নোবেলভক্তদের যখন দুঃখের শেষ নেই, তখনই নতুন করে তাকে নিয়ে বিতর্কে সৃষ্টি করেছে ভারত বাংলাদেশের উগ্রবাদী হিন্দু ও স্যকুলার কথিত দেশপ্রেমিকরা।

সা রে গা মা পা ২০১৯’-এ অংশ নিয়ে পুরো শোজুড়েই আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশের ছেলে নোবেল। তবে এবার হলেন সমালোচিত। জাতীয় সংগীতকে অপমান করেছেন বলে উগ্রবাদী হিন্দুদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, এক লাইভ সাক্ষাৎকারে জাতীয় সংগীত নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। যদিও তা এদেশের ৯০% মানুষের কাছে চন্দ্র সূর্যের মতো সত্য।

সেই সাক্ষাৎকারে নোবেল বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলাযতটা না দেশকে প্রকাশ করে তার চেয়ে কয়েক হাজার গুণ বেশি প্রকাশ করেছে প্রিন্স মাহমুদের লেখা বাংলাদেশগানটি।
উল্লেখ্য, সা রে গা মা পার গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা আর জেমসের কণ্ঠে জনপ্রিয় হওয়া বাংলাদেশগানটি গেয়েছিলেন নোবেল। এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে আইয়ুব বাচ্চুর সেই তুমিও প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের আমি বাংলায় গান গাইগান গেয়েছিলেন তিনি।

গ্র্যান্ড ফিনালেতে বাংলাদেশগানটি গাওয়া প্রসঙ্গে নিজের আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে গিয়ে নোবেল এ কথা বলে এমন বিতর্কের সৃষ্টি হয় তার ব্যপারে।

নোবেলের মন্তব্য শুনে অনেকেই তার ওপর অভিযোগ তুলেছে উগ্রবাদী হিন্দু ও স্যকুলাররা যে, জাতীয় সংগীতকে অপমান করেছেন নোবেল।

ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় চলছে। রবিন্দ্রের আমার সোনার বাংলার বিপরিতে কোনো গানই জাতীয় সংগীতের সমতুল্য নয় বলে জানিয়েছে উগ্রবাদী হিন্দু ও স্যকুলাররা।

উগ্রবাদী হিন্দু ও স্যকুলারদের অনেকে লিখেছে, এমন বোকামো নোবেল থেকে আশা করা যায় না। জাতীয় সংগীত অতুলনীয়। এটি শুধু সংগীতই নয়; বাংলাদেশের প্রাণ। তার এভাবে তুলনা করাই অনুচিত ছিল। এসব মন্তব্যই শেষ নয়; অনেকে এর জন্য নোবেলকে ক্ষমা চাইতে বলেছে। বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে তার বিচারও দাবি করেছে কেউ কেউ।

এ ছাড়া এক সাক্ষাৎকারে তারকা ব্যান্ডশিল্পী জেমসের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন নোবেল।

নোবেল দাবি করেছিলেন, জেমসের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় পাগলা হাওয়াগানটি সা রে গা মা পার মঞ্চে গাওয়ার পরও প্রচার করা সম্ভব হয়নি। জেমসের ম্যানেজারই নাকি তাকে ফোন করে গানটি টেলিকাস্ট করতে নিষেধ করেন। তবে নোবেলের সে দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।


শেয়ার করুন

0 facebook: