ডেঙ্গু মশা। |
চিফ রিপোর্টার।। কিছুদিন আগে একজন প্রাজ্ঞ অ্যানালিষ্ট একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন সচেতন বোদ্ধা মহলের দিকে। এবং তা হলো শুধুমাত্র আমেরিকার সাথে বৈরী সম্পর্কযুক্ত অর্থচ রাশিয়ার সাথে সুসম্পর্কসম্পন্ন দেশগুলিতেই ডেঙ্গু ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়ায় কেন?
একটু মাথা ঠান্ডা করে চিন্তা করুন। উত্তরটা বেরিয়ে আসবে। জীবানু অস্ত্রের সাহায্যে আবালবৃদ্ধাবণিতাকে হত্যা করা এমন নিষ্ঠুর অমানবিক নির্দয় আচরণ শুধুমাত্র ইহুদীবাদিদের পক্ষেই সম্ভব। আর সবাই জানে যে আমেরিকা চালায় ইহুদীরা।
এবার আসুন তো আরেকটু ভিতরে ঢুকি। গত শতকের আশির দশকে ব্যাপক ডেঙ্গু ভাইরাস এর আক্রমনে আক্রান্ত হয়েছিলো কিউবা। যা ছিলো আমেরিকার পক্ষ থেকে ঘৃণিত এক জীবাণু অস্ত্রের আক্রমণ। শুধুমাত্র একজন মানুষকে গদিচ্যুত করার জন্য সেদিন হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করতে বাধেনি বিশ্ব সন্ত্রাসী ইহুদীবাদী আমেরিকার। সেদিন ফিদেল ক্যাস্ট্রোর কি বক্তব্য ছিলো তা খতিয়ে দেখা যাক।
“We share the people's convictions and strongly suspect that the plagues that have been punishing our country, especially the hemorrhagic dengue, could have been introduced into Cuba , into our country, by the C.I.A.”
ক্যাস্ত্রো নিশ্চয়ই চব্বিশ ঘন্টা জেগে জেগে উন্নয়নের দিবা স্বপ্ন দেখতেন না। এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বালখিল্য মিথ্যা বলার প্রশ্নই আসে না। কাজেই আমেরিকা যে রুশ ব্লকের দেশগুলোতে প্রতিহিংসা বশত ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে থাকে তা একেবারে প্রমাণিত সত্য।
এ জীবানু অস্ত্রের প্রয়োগ মানবাধিকারের পরিপন্থী হওয়া সত্ত্বেও, অদ্যবধি এই ডেঙ্গু ভাইরাস আমেরিকা রাশিয়ার মিত্র দেশগুলোর উপর প্রয়োগ করে থাকে। আজকে থেকে দুই বছর আগে যখন চিকনগুনিয়া ভাইরাস মহামারী আকারে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল তখনো কিন্তু গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে জানা গিয়েছিল যে চিকুনগুনিয়া আমেরিকার বায়োলজিক্যাল অস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত। (দেখুন)
আমার কাছে কেন জানো শুরু থেকেই অথর্ব মেয়র সাঈদ খোকনের কথাগুলি সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। সাঈদ খোকন বলেছে যে এই ডেঙ্গু মহামারী নাকি গুজব। বর্তমানে সচেতন নেটিজেন সূত্রে জানা যায় যে এই সাঈদ খোকন আজকের থেকে ৪ বছর আগে ঢাকা শহরকে বিশ্বব্যাংকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।
অর্থাৎ সে বিশ্বব্যাংকের কাছে নতজানু সাম্রাজ্যবাদী গোলাম। অতএব ডেঙ্গু মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়লেও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত সাঈদ খোকনের অপচেষ্টা খুবই সন্দেহজনক, বরং এরূপ হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই যে প্রথম দিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে সারাদেশে তা ছড়িয়ে দেওয়া তার প্লানেরই একটি অংশ।
ভালোভাবে ইনভেস্টিগেশন করলে বের হয়ে আসবে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে প্রয়োগকৃত আমেরিকান বায়োলজিক্যাল ওয়ার ফেয়ার এর এই দেশীয় ক্রীড়ানক হলেন মেয়র সাঈদ খোকন মশা।
সরকারের উচিৎ সিআইএ পন্থী এই মেয়রকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা, এতে অনেক গোপন তথ্য বেরিয়ে আসবে আমি শিউর।
৫০ এর দশকে ফোর্ট ডেরিক সিআইএ'র প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মাল্টি মিলিয়ন ডলার রিসার্চ প্রোগ্রাম চালু করেন। না মানব সম্পদ রক্ষার মত মহৎ উদ্যোগে তার এই গবেষণাকর্ম পরিচালিত হয় নি। বরং কিভাবে নিরীহ নারী-পুরুষ-শিশু আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা কে ডেঙ্গু ভাইরাস এবং আরও ভয়াবহ মরণঘাতী রোগ অসুখ-বিসুখ এর ধারা তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মারা যায়, হত্যা করা যায়, তার রাগমোচন উপভোগ করার জন্য মানবতার ধ্বজাধারীরা এই প্রজেক্ট চালু করেছিল। এমনকি ফ্লোরিডা, কী ওয়েস্ট, পানামা সিটি, এভন পার্ক অঞ্চলগুলিতে মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর এবং অন্যান্য জীবাণু অস্ত্র সমূহের এক্সপেরিমেন্ট চালানো হয়েছিল। আমেরিকার স্বল্পআয়ের আফ্রো আমেরিকান নাগরিকদের উপর এই বায়োলজিক্যাল উইপন এর প্রয়োগ ঘটিয়েছিল ইহুদি কিংপিনরা।
সিআইএ’র ডকুমেন্ট থেকে জানা যায় টপ সিক্রেট প্রজেক্ট এমকে/নাওমী নামে পরিচালিত এই অপারেশনে বিশেষভাবে সজ্জিত বিমান থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু বাহী ৬ লক্ষ মশা একেক দফায় ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
এই অপারেশন গুলির ব্যায়ভার কে বহন করেছিল জানেন? সেই বিশ্বকুখ্যাত রকফেলার পরিবার যারা সারা বিশ্বে ইহুদি সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের জন্য মূল ভূমিকা পালন করছে। শুধুমাত্র তাই নয় ১৯৮২ সালের মিডিয়ার রিপোর্ট আরো বের হয়ে আসে যে সিআইএ পাকিস্তান মারফত আফগানিস্তানেও ডেঙ্গু মহামারীর জীবাণু অস্ত্র পাঠিয়েছিল। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৬ সালে নিকারাগুয়ার কতৃপক্ষ অভিযোগ তুলেছিল জেসিআই ডেঙ্গু ভাইরাস জীবাণু অস্ত্র তাদের দেশেও প্রয়োগ করেছে।
ভাগ্যের পরিহাস এটাই ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট নিক্সন জীবাণু অস্ত্র নিরোধ চুক্তিতে সই করে এবং জীবাণু অস্ত্রকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
এই আগলি আমেরিকানরা ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মানুষ তো বটেই শস্য সামগ্রির উপরেও জীবাণু অস্ত্র প্রয়োগ করেছিল কিউবাতে।
বর্তমানে চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রতিরোধ করার জন্য আমেরিকা বিজেপি সরকারকে নিয়ে বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে তার প্রাথমিক সূচনা পর্ব হলো এই জীবাণু অস্ত্র ডেঙ্গুর মহামারী।
সামনে বিস্তারিত তালিকা নিয়ে আসব আমেরিকা আজ পর্যন্ত কোথায় কোথায় আশরাফুল মাখলুকাত কে বানিয়েছে তাদের এক্সপেরিমেন্টের বিষয়বস্তু। ইনশাআল্লাহ। তথ্যসূত্রঃ (১) (২) (৩) (৪)
যাইহোক নিচের এই ছবি দেখে, কেউ চীনের ‘স্ট্রিং অব পালর্স’ বা মুক্তার মালা ভেবে ভুল করবেন না। এটা এ বছর যে সব দেশে ডেঙ্গু জ্বর মহামারি আকারে ছড়িয়েছে তাদের চিহ্নিত করণ। এবার আপনারাই হিসাব মেলান চীন, অ্যামেরিকা, রাশিয়া ও মোড়ল ইহিদীবাদী ইসরাঈলের কার্যক্রমে কোথায় কে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে এবং কাকে কাকে টাইট দেওয়া হচ্ছে।
যাইহোক নিচের এই ছবি দেখে, কেউ চীনের ‘স্ট্রিং অব পালর্স’ বা মুক্তার মালা ভেবে ভুল করবেন না। এটা এ বছর যে সব দেশে ডেঙ্গু জ্বর মহামারি আকারে ছড়িয়েছে তাদের চিহ্নিত করণ। এবার আপনারাই হিসাব মেলান চীন, অ্যামেরিকা, রাশিয়া ও মোড়ল ইহিদীবাদী ইসরাঈলের কার্যক্রমে কোথায় কে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে এবং কাকে কাকে টাইট দেওয়া হচ্ছে।
0 facebook: