11 August 2019

সহিহভাবে পবিত্র ঈদুল আদ্বহার পবিত্র নামাজ যেভাবে আদায় করবেন


ধর্মীয় ডেস্ক।। ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ হলো ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। প্রতিবছর জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ এ ঈদ পালিত হয়। আগামী ১২ই আগস্ট পবিত্র ১০ই জিলহজ্জ পবিত্র কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে চাঁদ দেখে ঈদ করলেও সৌদি চাঁদ না দেখেই একদিন আগে ঈদ ঘোষণা করে যার ফলে লাখ লাখ হাজীদের হজ্জ ও কোরবানি কবুল হওয়া নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।

এদিকে সবাই অবগত যে বছরে দুইবার ঈদের পবিত্র নামাজ পড়তে হয়। ঈদের পবিত্র নামাজ দুই রাকাত। যা আদায় করা ওয়াজিব এবং তা জামায়াতে আদায় করতে হয়।

দীর্ঘ সময় গ্যাপ থাকার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যায়। তাই সবার সুবিধার্থে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-

আসুন জেনে নেই ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম। উভয় ঈদের নামাজ দুই রাকাত। নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির দিতে হয়।

ঈদুল আযহার নামাযের আরবী নিয়তের বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহী তায়ালা রাক্বয়াতাই সালাতিল ঈদিল আদ্বহা মাআ সিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইক্‌তা-দাইতু বি-হাযাল্‌ ইমাম মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা-বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।

যদি কেউ আরবি না পারেন তাহলে বাংলায় নিয়ত করবেন এভাবেঃ মহান আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সঙ্গে এই ইমামে পিছনে আদায় করছি বলে নিয়ত বাঁধতে হয়। প্রথমেই- তাকবিরে তাহরিমা- আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধবেন।

প্রথম রাকাতঃ নিয়ত বাঁধার পর, ইমাম ও মুসল্লিরা নিয়ত বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ এ দোয়াটি পড়বে-

উচ্চারণ- সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।

তারপর ইমামের উচ্চস্বরে তাকবির বলার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরাও তাকবির বলবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে ছেড়ে দিবেন। তৃতীয় তাকবিরের সময় উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে না ছেড়ে হাত বাঁধবেন।

এরপর ইমাম সাহেব সূরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে রুকুসিজদা করবেনমুসল্লিরাও ইমামের সঙ্গ রুকু সিজদা করবেন।

দ্বিতীয় রাকাতঃ ইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা মিলানোর পর রুকুতে যাওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত তিন তাকবির প্রথম রাকাতের মতোই আদায় করবেন। অতপর রুকু-সিজদা করার পর অন্যান্য নামাজের মতোই সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করবেন।

এ নিয়মে ঈদুল ফিতরও আদায় করা হয়। উভয় ঈদের আগে পরে কোনো নফল বা সুন্নত নামাজ নেই। এমনকি ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইকামাতেরও প্রয়োজন হয় না।


শেয়ার করুন

0 facebook: