অজিত উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের হাওর সংলগ্ন মুজরাই গ্রামের মীর বদনের ছেলে। নিহতের পারিবার জানায়, উপজেলার মুজরাই গ্রামের অজিত বর্মণের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বারকুঁড়ি গ্রামের সুধন বর্মাণের মেয়ে সঞ্চিতা বর্মণের (১৯) পারিবারিক সম্মতিক্রমে বুধবার বিয়ে হয়।
নববধূকে মুজরাই গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসার পর শুক্রবার বাসররাতে শয়নকক্ষে স্ত্রীকে রেখে রাতের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কথা বলে অজিত ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি।
মধ্যরাত অবধি শয়নকক্ষে না ফেরায় অনেক খোঁজাখোজির পর বসত বাড়ির পশ্চিম পাশের গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে পরদিন শনিবার থানা পুলিশ মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের পিতা মীরবদন বললেন, আমার প্রথম স্ত্রী এক ছেলে সন্তান রেখে পরলোকগমন করার পর আমি দ্বিতীয় বিয়ে করি।
আমার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে অজিত ছিল বড়। তাকে অনেক সাধ আল্লাদ করে বিয়ে করিয়ে ছিলাম কিন্তু কী কারনে সে আত্মহত্যা করল তা আমি বা আমাদের পরিবারের কেউ জানি না।
নববধূকে থেকে সদ্য বিধবা হওয়া সঞ্চিতা বর্মণ বলছে, ভাল ভাবে আমার সঙ্গে দুটো কথাই তো হয়নি, শুধু শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে কিছুক্ষন থেকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কথা বলে বেড়িয়ে গেল সে (অজিত), আমি এতটুকুই জানি। তাহিরপুর থানার ওসি মুহম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, পুলিশ আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান করছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
0 facebook: