![]() |
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ফাইল ছবি |
স্টাফ রিপোর্টার।। মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে দেশটির ৩০ সেনা নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছে ১৬জন। মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলীয় সান প্রদেশের বিভিন্নস্থানে হওয়া সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। বুধবার মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশিরভাগ সংঘর্ষ লাসিও থেকে মিউসি পর্যন্ত মহাসড়কের কটকাই শহরতলীতে হয়েছিল বলে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়। এর মধ্যে কিছু সংঘর্ষ ৩থেকে ৪ঘণ্টা টিকেছিল। তবে সংঘর্ষ রাত ৮টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনীর ওই এলাকায় ৯টি সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানানো হয়। ব্রাদারহুড জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৩০ শত্রু সেনা সদস্য নিহত হয়েছে এবং ১৬জন আহত হয়েছে। তবে বিদ্রাহীদের কয়েকজন আহত হয়েছে, কেউ মারা যায়নি।
বুধবার ইরাবতীকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জও মিন তুন বলে, ৩০ সেনা সদস্য মারা যায়নি, এটা অসম্ভব।
সে বলে, নং চো ও কিয়াকমি শহরে দুটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কিয়াকমির সংঘর্ষে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনীর তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) একটি অস্থায়ী ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। নর্দান অ্যালায়েন্স দেশটির স্বাধীনতাকামী তিনটি গোষ্ঠীর জোট। টিএনএলএ ছাড়াও আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এই জোটের সদস্য।
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল বলেন, কুটকাই এলাকায় আরও একটি সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, সামরিক সরঞ্জাম এবং একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। আমরা খবর পেয়েছি যে, লাশিও এবং কুটকাই এলাকায় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্য নিহত হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত ১০ স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার দাবি করেছে এই জোট। সংঘর্ষের ষষ্ঠ দিন বুধবার কুটকাইয়ে আবারও সংঘর্ষের দাবি করেছে বিদ্রোহীরা।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
মিয়ানমার
0 facebook: