আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। হাজার হাজার অবৈধ ভারতীয় হিন্দু সৌদিতে কাজ করতে পারলেও পারছেনা বাংলাদেশী মুসলমানেরা। অনেক স্বপ্ন নিয়ে আট মাস আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন সিলেটের আবু বক্কর। কিন্তু মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রতে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয় তাকে। কাজের বৈধ অনুমোদন (আকামা) থাকা সত্ত্বেও সেদেশের পুলিশ মুসলমানদের ধরে ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আবু বক্কর।
মঙ্গলবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমান যোগে বক্করের মতো ফেরেন ১৬০ জন বাংলাদেশি। আর এ নিয়ে গত তিন দিনে ফিরলেন ৩৮৯ জন। আর নয় মাসে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে কাজ করা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরীফুল হাসান এসব তথ্য জানান।
আগের দিনের মতো এবারেও দেশে ফেরা কর্মীদেরকে বিমানবন্দরের ওয়েজ অনার্স কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে বিমানবন্দরে খাবারসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করে।
শরীফুল হাসান জানান, গত নয় মাসে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি মুসলমানকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রাতে ফেরত আসা চাঁদপুরের জামাল জানান, সাড়ে ৪ হাজার রিয়াল দিয়ে আকামা করার দুমাসের মাথায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ তাকে ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।
পটুয়াখালীর বায়জিদ, মানিকগঞ্জের আবু সাইদ, মাদারীপুরের নাসিম, কুমিল্লার জামাল, মুন্সিগঞ্জের মিজান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টিপু সুলতান, মাদারীপুরের সিরাজ, কুষ্টিয়ার জহুরুলসহ ১৬০ বাংলাদেশির সবারই এমন অভিযোগ।
তারা বলছেন, বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোর করে ধরে জেলে কিছুদিন আটকে রেখে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। কিছু কর্মী অভিযোগ করেছেন কফিল (মালিক) আকামা নতুন করে নবায়ন করেনি বা আকামা বাতিল করায় তাদের দেশে পাঠানো হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কোন সহযোগিতা করেনি অভিযোগ করে কর্মীরা আরও বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হবে।
0 facebook: