File Photo |
স্টাফ রিপোর্টার।। নিরাপদ
সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকা শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির তিন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
জারির বিষয়ে আদেশের তারিখ পিছিয়েছে।
এ
বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য থাকলেও বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন
ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত
২২ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত। আদেশের তারিখ আজ দ্বিতীয়বারের
মতো পিছিয়ে ২০ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করা হলো।
এই
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
২০১৮
সালের ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট
কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম (১৬) এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল
করিম রাজু (১৭) নিহত হন। এ ঘটনার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের
শিক্ষার্থীরা শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরবর্তীতে সারাদেশে
ছড়িয়ে পড়ে এ আন্দোলন।
শিক্ষার্থীদের
শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনকে রাজনীতিকরণসহ সারাদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির অভিযোগ আনা
হয় ফখরুলদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট আমির খসরু ঢাকা শহরসহ সারাদেশে
দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কুমিল্লার নওমী নামে
এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের
কর্মীদের নামানো এবং ফেসবুকে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেন।
অপরদিকে
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে কোমলমতি
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের লোকজন ঢুকে পড়ে। এছাড়া তাদের হুকুমে রাজধানীর উত্তরায়
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের কর্মীদের ঢুকিয়ে এনা পরিবহনের দু’টি বাসে
অগ্নিসংযোগ, জিগাতলায় আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর এবং হামলা করে কর্মীদের আহত করা, মিরপুরে
মারপিট, হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটায় ছাত্রদলের কর্মীরা।
এসব
অভিযোগে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম তোয়াহার আদালতে
মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ
করে তেজগাঁও থানাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন।
চলতি
বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সেন্টু মিয়া একটি
প্রতিবেদন দাখিল করেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে দণ্ডবিধির ১৫৩ ও ১০৯ ধারায়
আসামিদের অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দেন তিনি।
0 facebook: