04 August 2019

যুক্তরাষ্ট্রে খ্রিষ্টান জঙ্গিদের স্বসশ্র হামলায় ১৯ জন নিহত হওয়ার পরেও সন্ত্রাসী হামলা বলা হচ্ছেনা কেনো?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। যুক্তরাষ্ট্রে শপিং মলে এক উগ্রবাদী খ্রিষ্টানের এলোপাতাড়ি গুলিতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজন খ্রিষ্টান যুবক-কে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার দেশটির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসোর ওয়ালমার্ট স্টোরে এ দুঘর্টনা ঘটে। শহরটি মেক্সিকো সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।

শিশুসহ ২২ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক শেতাঙ্গ খ্রিষ্টান যুবক-কে আটক করেছে পুলিশ। তারা দাবী করছে, এটা কোন সন্ত্রাসী হামলা নয় এবং সে একাই এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।

হেফাজতে নেয়া ব্যক্তির নামও প্রকাশ করেছে অনেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম। সে ২১ বছর বয়সী খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী প্যাট্রিক ক্রুসিয়াস।

পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে পরবর্তী আর কোনো হুমকি আসেনি। যদিও প্রাথমিকভাবে একাধিক বন্দুকধারীর হামলার কথা জানা যায়।

শপিং মলের ঐ খ্রিষ্টান জঙ্গির হামলার ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটবার্তায় তিনি বলেন, এল পাসোর ঘটনা অতি পীড়াদায়ক। এতে অনেকের প্রাণ ঝরেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সীমানা থেকে খানিকটা দূরে এল পাসোর ওয়ালমার্ট সুপার সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঠিক কতজন আহত হয়েছেন রিপোর্ট লিখার সময় পর্যন্ত তা নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি।

এল প্যাসোর মেয়র ডি মারগো নিশ্চিত করেছেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনের ক্ষতি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্ত খ্রিষ্টান জঙ্গির লেখা একটি ম্যানিফেস্টো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘুরছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে সেনা, বিশেষ এজেন্ট, টেক্সাস রেঞ্জার, কৌশলগত দল এবং বিমান বাহিনী নিযুক্ত করেছি। অপরাধীদের বিচার নিশ্চিতকরণে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে।

পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে পরবর্তী কোনো হুমকি আসেনি। এর আগে একাধিক বন্দুকধারীর সূত্র বিষয়ক রিপোর্ট জানা গিয়েছিল।

স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অন্তত ১৮ জনকে গুলি করা হয়েছে। কিন্তু তাদের আঘাত কতটা গুরুতর তা এখনও জানা যায়নি।

এল প্যাসোর ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার এই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত অন্তত দশজনকে হাসপাতালে নিয়েছে। তাদের অবস্থা গুরুতর।

ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার এই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত অন্তত দশজনকে হাসপাতালে নিয়েছে। তাদের অবস্থা গুরুতর।


শেয়ার করুন

0 facebook: