19 April 2014

বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ "খুলনা থেকে সিলেট" পর্যন্ত ভারতের ভূখণ্ড বলে দাবি বিজেপির!

দৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গ প্রিন্ট ভার্সন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামী বাংলাদেশের কাছে এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দাবি করেছে। সে বলেছে, খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত সমান্তরাল রেখা টেনে এই জমি ভারতের হাতে ছেড়ে দিক বাংলাদেশ।

উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির এই শীর্ষ নেতার যুক্তি হলো, দেশ ভাগের পর অধুনা বাংলাদেশ থেকে এক তৃতীয়াংশ মুসলমান ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশকে। অন্যথায় এসব মুসলমানের সংস্থাপনের জন্য দিল্লিকে এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড জমি ছাড়তে হবে ঢাকাকে।

শনিবার আসামের শিলচর থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গ এ খবর দিয়েছে।পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামীর যুক্তি হলো-সৌদি আরব, কুয়েত, কাতারসহ বিশ্বের যেসব দেশে মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য সেখানে হিন্দুরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এমনকি প্রকাশ্যে ধর্ম পালনেরও অধিকার নেই তাদের। একমাত্র ভারতেই যেহেতু হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই এই দেশ ধর্মনিরপেক্ষ। ফলে সীমান্তপার (বাংলাদেশ) অনুপ্রবেশ সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

সাময়িক প্রসঙ্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃটেনের হাউজ অব কমন্সে ১৯৪৭ এর জুনে ভারতের দেশভাগ নিয়ে বিতর্ক এবং ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্স অ্যাক্ট-এর মৌলিক প্রসঙ্গ টেনে যে তত্ত্বের যুক্তিজাল এদিন সামনে রাখলেন স্বামী, এককথায় তার সারমর্ম হলো, মানুষের বোঝা চাপিয়ে দিলে দিতে হবে জমিও।

সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামীর বক্তব্য হলো, ধর্মের ভিত্তিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছিল ভারত ভূখণ্ড। তাই পাকিস্তান বা অধুনা বাংলাদেশ থেকে এদেশে যেসব মুসলমান অনুপ্রবেশ করেছে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশকে। অন্যথায় এদের সংস্থাপনের জন্য জমি ছাড়তে হবে ঢাকাকে।

স্বামীর মতে, অধুনা বাংলাদেশ ভূখণ্ড থেকে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ সীমান্ত টপকে ঢুকেছে এদেশে। তাই এদের ফিরিয়ে না নিলে বাংলাদেশকে ছেড়ে দিতে হবে সে দেশের এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড।

স্বামীর প্রস্তাব, খুলনা থেকে সিলেট অবধি সমান্তরাল রেখা টেনে এই জমি ভারতের হাতে ফেরত দিক বাংলাদেশ। তবে স্বামী জানিয়েছে, এ নিয়ে সে এখনো মোদি বা বিজেপির সঙ্গে কথা বলেনি ঠিকই, কিন্তু নতুন এই তত্ত্বের কথা যথাসময়ে দেশের সংসদে উত্থাপন করবে। সংসদে এ নিয়ে বিতর্ক হওয়া প্রয়োজন সে কথা সে দলীয় নেতৃত্বকে বুঝিয়ে বলবে।

সাময়িক প্রসঙ্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার একদিনে সফরে গৌহাটিতে পা রেখেছিল স্বামী। উদ্দেশ্য, দলের নির্বাচনী বাতাস বইয়ে দেয়া। কোনো প্রচার সভায় ভাষণ না দিলেও স্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে এক আলাপতারিতায় অংশ নেয় সে। মুখোমুখি হয় সাংবাদিকদেরও।


শেয়ার করুন

0 facebook: