13 August 2016

বাগেরহাটে আইএস পরিচয়ে হুমকি দাতা উগ্রবাদী হিন্দু অসিত কুমার গ্রেফতার


জেলা সংবাদদাতা॥ আইএস পরিচয়ে ব্র্যাকের এক কর্মকর্তা ও কলেজ শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অসিত কুমার দাস (৫২) নামে এক হিন্দু লোক কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

বহুদিন ধরে আইএস পরিচয়ে ব্র্যাকের ঐ কর্মকর্তা ও কলেজ শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অসিত কুমার দাসকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাতে বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অসিত কুমার দাসের বাড়ি ওই একই এলাকায়।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবগহাটি সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অরুণ কুমার চক্রবর্তী এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের বাগেরহাট সদর ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক বিকাশ চন্দ্র বসুকে আইএস পরিচয়ে চিঠি পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে তারা অভিযোগ করলে পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে হুমকি দাতা অসিত কুমারকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার করার পর অসিত কুমার পুলিশের কাছে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। পুলিশ সুপার আরো জানান, অসিতের দাবি, ব্যক্তিগত বিবাদ ও ঋণ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিনি ওই দুইজনকে হুমকি দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

তবে এলাকাবাসীর দাবি সে ভারতীয় উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপ আর এস এস সদস্য, সে বাংলাদেশ কে বহির্বিশ্বে সন্ত্রাসী রাষ্ট প্রমানের কাজে নিয়োজিত। এদিকে পুলিশ বলছে ঘটনা যাই হোক আমরা মূল বিষয় খতিয়ে দেখছি।


শেয়ার করুন

2 comments:

  1. ভাই মুসলিমরা অপরাধ করলে তো তার নামের আগে তার ধর্ম লাগান না..কিন্তু হিন্দুধর্মের কেউ অপরাধ করলে অপরাধীর নামের আগে হিন্দু লাগিয়ে সমগ্র হিন্দু জাতিকে অপমান করছেন আপনারা..
    আপনাদের এটা বিবেচনা করা উচিত যে আপনার একটা নিউজ চ্যানেল চালান..
    দেশে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি বলে তাদের বেশি সাপোর্ট পাবেন এই ভেবে সংখ্যালঘুদের এভাবে অপমান করা ঠিক না..সংবাদ সবসময়ই নিরপেক্ষ হয়। জনগণের মধ্যে দ্বন্ধ সৃষ্টি হয় এমন সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকুন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. দাদা,আপনার কথায় যুক্তি আছে,কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে অএস'র নামে সব সময় মুসলমানদেরকেই হেনস্থা করা হয়,এখন সেখানে যদি অন্য ধর্মের কেউ হাতেনাতে ধরা প,, তখন ব্যাক্তি নয় ধর্মই মূখ্য হয়ে পড়ে, ধন্যবা।

      Delete