এসময় তুরস্কের
প্রধানমন্ত্রী বিন আলী ইলদিরিম ও ফাউজি আল জুনাইদির বাবা উপস্থিত ছিলেন। বুধবার
প্রেসিডেন্টের সাথে তিনি সাক্ষাৎ করেন বলে জানা যায়।
এদিকে, তুরস্কে
পৌঁছে আনাদুলা এজেন্সিকে জুনাইদি বলেছে, কারাগার থেকে বের
হয়ে সে তার খ্যাতির কথা জেনেছে।
“কারাগারে আমরা
কিছুই দেখতে পাইনি। কারাগারে তারা সকল ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, টেলিফোন
ও টিভি নিষিদ্ধ করেছে। আমি যেখানে ছিলাম, সেখানে একটি
মাত্র টেলিভিশন আছে যেটাতে নির্দিষ্ট একটি চ্যানেল দেখা যায়। আমরা এই চ্যানেলের
কিছুই অনুসরণ করিনি। এটা শুধু ইসরাইলিদের কাজগুলো দেখায়। কারাগার থেকে বরে হয়ে
আমার ছবিটি দেখার সুযোগ হয়েছে।” বলেছে জুনাইদি।
ইসরাইলি সৈন্যদের
নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে জুনাইদি আরও বলেছে, সে ইসরাইলি
সৈন্যদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছে। আঘাতপ্রাপ্ত জায়গাগুলোতে সে অস্ত্রপচার করবে। তার
কাঁধ ও বাহুতে এখনও ব্যথা করে।
উল্লেখ্য,
কিশোরী
তামিমি’র পর ফিলিস্তিনিদের আন্দোলনের অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠে ১৬ বছরের কিশোর ফাউজি
আল জুনাইদি। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের
পরই এর প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় বিক্ষোভ। গত ৭ ডিসেম্বর
ফিলিস্তিনের হেব্রুনের ওয়েস্ট ব্যাংক সিটিতে বিক্ষোভ করার সময় ১৬ বছরের কিশোর ফাউজ
আল জুনাইদিকে ইহুদীবাদী ইসরাইলি সৈন্যরা গ্রেফতার করে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়। জুনাইদির
এই চোখ বাঁধা ছবি মূহূর্তের মধ্যেই সবখানে ছড়িয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও
জুনাইদিকে গ্রেফতার করে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশিত হয়। ইসরাইলি কারাগার
থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর ছাড়া পায় জুনাইদি।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: