আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ রয়টার্স থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, সিরিয়ার কুর্দি-অধ্যুষিত
আফরিন অঞ্চলে হামলা শুরু করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার
মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত প্রায় ৭০টি কামানের গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। তুরস্কের
প্রতিরক্ষামন্ত্রী নুরুদ্দিন জানিকলিও শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এখনও কোনো তুর্কি
সেনা সেখানে প্রবেশ করেনি বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এখন কেবল দূর
থেকে কামানের গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। শিগগিরই সেখানে তুর্কি সেনাবাহিনী প্রবেশ করবে।
এদিকে আফরিনে
হামলা শুরু হওয়ার পর সেখান থেকে রাশিয়া তাদের সৈন্যদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে। সৈন্যদের
সরিয়ে নেয়ার মাধ্যমে রাশিয়া তুরস্কের হামলাকে সমর্থন দিচ্ছে বলে মনে করছে
বিশ্লেষকরা।
কুর্দি গেরিলা
গোষ্ঠী ওয়াইপিজি তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেছে,
তুরস্ক
গত মধ্যরাত থেকে কামানের গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। কয়েকটি গ্রামে গোলা আঘাত হেনেছে
বলে তারা জানিয়েছে।
এর আগে তুর্কি
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান কুর্দি গেরিলাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান
জনিয়েছেন। তুরস্ক বলছে, সিরিয়ার কুর্দি গেরিলারা তুরস্কের জন্য ক্রমেই বড়
ধরনের হুমকিতে পরিণত হচ্ছে।
এদিকে আনাদলু
এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, পিকেকে সন্ত্রাসীরা ১৯৮০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০
হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আফরিন এলাকায় বর্তমানে পিকেকে এর ৮ থেকে ১০ হাজার
সন্ত্রাসী অবস্থান করছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
জাতিগত বিদ্বেষ
0 facebook: