25 January 2018

এবার বিশ্বরেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের এই মসজিদটি


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে নির্মিত হচ্ছে এই মসজিদটি। ২৭১ শতাংশ জায়গায় নির্মাণাধীন মসজিদের কাজ ইতোমধ্যেই ৭৫% শেষ হয়েগেছে। নির্মাণাধীন অবস্থায়ই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও বিশ্বের ইতিহাসে এত বেশি গম্বুজ বিশিষ্ট কোনো মসজিদ এর আগে নির্মাণ করা হয়নি।

আর একারনেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মসজিদের ইতিহাসে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে নির্মাণাধীন টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ঐতিহাসিক ২০১ গম্বুজ ওয়ালা বিশিষ্ট এই মসজিদ। নির্মাণাধীন এ ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদে থাকবে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক গম্বুজ ও ৪৫১ ফুট উচুঁ একটি মিনার। যা একটি বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করে গিনেস রেকর্ড বুকে নাম লেখাতে চলেছে, শুধু তাই নয় মহান আল্লাহ তালার ঘর এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন করে পরিচিত করে তুলতে সহায়ক হবে এবং প্রচুর বিদেশি পর্যটক ও ওলি আউলিয়ার আগমন ঘটবে এই মসজিদকে ঘিরে, এমনটি মন্তব্য টাঙ্গাইল ও গোপালপুরের এলাকাবাসী এবং মসজিদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

নির্মাণাধীন এ ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদে থাকবে অত্যাধুনিক সব সুবিধা। মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের পশ্চিমের দেয়ালে অংকিত থাকবে সম্পূর্ণ পবিত্র কোরআন। আর মসজিদের প্রধান দরজায় ব্যবহার করা হবে ৫০ মন পিতল। আজান প্রচারের জন্য মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে উচুঁ মিনার। উচ্চতার হিসেবে মিনারটি হবে প্রায় ৫৭ তলার সমপরিমাণ অর্থাৎ ৪৫১ ফুট।

মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে আলাদা ভবন। ওই ভবনে থাকবে, দুঃস্থ মহিলাদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা। মসজিদটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। নির্মাতাদের প্রত্যাশা, শৈল্পিক স্থাপনা হিসেবে এ মসজিদটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের এক প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে। ইতোমধ্যেই (নির্মাণাধীন অবস্থায়) মসজিদটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রতিদিন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক নির্মাণ কাজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করছেন, পবিত্র কাবা শরিফের ইমামের উপস্থিতি ও ইমামতির মাধ্যমে মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।


শেয়ার করুন

0 facebook: