আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ হামাসের প্রভাবশালী নেতা ওসামা হামদান বার্তা সংস্থা ‘কুদস প্রেস’-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে
প্রতিরোধ সংগ্রামের পথ বেছে নিতে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ
আব্বাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
দখলদারদের বিরুদ্ধে
প্রতিরোধ সংগ্রামের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ আধিপত্যের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা
যে অবস্থান গ্রহণ করেছিল আমাদের সবার উচিত সেই অবস্থানে ফিরে যাওয়া। কারণ এর বাইরে যেসব পন্থা
বেছে নেয়া হয়েছিল তা ছিল সাময়িক। প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানাতে মাহমুদ আব্বাসের প্রতি আহ্বান
জানান হামাসের এ নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা অতীতেও বলেছি আপসের পথ
ব্যর্থ হবে। প্রতিরোধের মাধ্যমেই দাবি
আদায় করতে হবে।’ ওসামা হামদান আরও বলেছেন, পবিত্র বায়তুল
মুকাদ্দাস শরীফ কে
ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠার মার্কিন সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের
বিশ্বাস ও চেতনায় পরিবর্তন আনতে পারবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্প বায়তুল মুকাদ্দাসকে (জেরুসালেম) ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা
করার পর প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতি ফিলিস্তিনিদের সমর্থন অনেক বেড়েছে বলে বিভিন্ন
জনমত জরিপ সংস্থা জানিয়েছে। ট্রাম্পের হঠকারী
সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইসরাইলের পতন শুরু হলো: হামাস
ফিলিস্তিনের ইসলামি
প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাসকে
ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণকে হুমকি দিতে
চাইছে আমেরিকা ও ইসরাইল। তিনি সতর্ক করে বলেন, বায়তুল মুকাদ্দাস ইস্যুতে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইসরাইলের
পতন শুরু হলো।
হামাস নেতা বলেন, ইসরাইলকে স্বীকৃতি না দেয়া
এবং প্রতিরোধ আন্দোলনকে সমর্থন করাসহ দুটি কৌশলকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে
মারাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু, সারা বিশ্ব যদি বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে
স্বীকৃতি দেয় তাহলেও ফিলিস্তিনিরা তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আনবে না। চলমান পরিস্থিতিতে তিনি
ফিলিস্তিনি জাতির মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেন। গত সপ্তাহে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বায়তুল মুকাদ্দাস সফরের
সময় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এসব কথা বললেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: