আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সিরিয়ার
পূর্বাংশে মার্কিন বিমান হামলা ও কামানের গোলায় প্রায় একশ' সরকারি সৈন্য নিহত হয়েছে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেইর আল-জুর
অঞ্চলে সিরিয়ান সৈন্যদের একটি হামলার পর ওই পাল্টা হামলা চালানো হয়।
সিরিয়ার
সৈন্যরা যে বিদ্রোহী স্থাপনাটিতে হামলা চালিয়েছিল সেখানে মার্কিন সামরিক
উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা প্রমান করে যে সিরিয়াতে বিভিন্ন দেশের সামরিক
উপস্থিতি একটি বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি করেছে।
সিরিয়ায় এখন
ইসলামিক স্টেট প্রায় সম্পূর্ণ পরাজিত হয়েছে, কিন্তু সেখানে বাশার আসাদ সরকারের সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী
ছাড়াও মার্কিন, তুর্কি, রুশ এবং ইরানী সেনাদল রয়েছে। সিরিয়ার সংবাদ মাধ্যম এর
নিন্দা করে বলেছে, এটি হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের
সমর্থনে এক নতুন আগ্রাসন।
অন্যদিকে
সিরিয়ান সরকারি বাহিনী রাজধানী দামেস্কের বাইরে পূর্ব ঘুটা উপশহরে আজ চতুর্থ
দিনের মতো অন্তত ৬টি লক্ষ্যবস্তুর ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে ২০ জন নিহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
বলেছেন, রাস্তার ওপর মানুষের মৃতদেহ এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত যানবাহন
ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এখানে প্রায় চার লাখ লোক বাস
করে এবং তারা এখন সরকারি বাহিনীর দ্বারা ঘেরাও হয়ে আছে। সেখানে খাদ্য আর ওষুধ পৌছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে
পড়েছে। ইতিমধ্যে তুরস্ক বলেছে, তারা ইরান ও রাশিয়াকে নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক করতে যাচ্ছে - তবে
তা কবে হবে তা স্পষ্ট নয়।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: