20 February 2018

খোমেনীর ক্ষোভ প্রকাশ, পাশ্চাত্যের ওপর আস্থা রেখে লাভ হয়নি


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পরমাণু আলোচনা ও পরমাণু সমঝোতায় পাশ্চাত্যের ওপর আস্থা রেখে তার দেশের কোনো লাভ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খোমেনীতিনি বলেছেন, আমরা পরমাণু সমঝোতার ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের ওপর আস্থা রাখার ফল প্রত্যক্ষ করেছিআস্থা রেখেছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি

তিনি রোববার তেহরানে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হাজার হাজার মানুষের এক সমাবেশে একথা বলেন সর্বোচ্চ নেতা পরমাণু সমঝোতার ক্ষেত্রে আমেরিকার নোংরা আচরণ এবং ইউরোপীয়দের দ্বিমুখী চরিত্রের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফের কূটনৈতিক তৎপরতার ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন, এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

আয়াতুল্লাহিল উজমা খোমেনী বলেন, পাশ্চাত্যের কাছ থেকে ছাড় আদায় করতে হবে কিন্তু তার ওপর আস্থা রাখা বা নির্ভরশীল হওয়া যাবে নাকারণ, সেক্ষেত্রে তারা ইরানের ওপর নানা দিক দিয়ে চেপে বসবেরাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি যেসব শক্তির কাছে বিশ্ব মানবতাকে ধ্বংস করে দেয়ার মতো অস্ত্র থাকা সত্ত্বেও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার বিরোধিতা করে তাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার তাদের নেইতারা চায় ইরানের কাছে আত্মরক্ষার মতো সমরাস্ত্র না থাকুক যাতে তারা তেহরানের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করতে পারে

আয়াতুল্লাহিল উজমা খোমেনী বলেন, পরমাণু অস্ত্রসহ সব ধরনের মারণাস্ত্রকে আমরা হারাম বা নিষিদ্ধ মনে করিকিন্তু এর বাইরের যেকোনো প্রচলিত অস্ত্র যত বেশি প্রয়োজন আমরা তৈরি ও নিজেদের শক্তিশালী করব জনতার এমন অংশগ্রহণ অলৌকিক ঘটনার মতো মনে হচ্ছে: সর্বোচ্চ নেতা

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খোমেনী চলতি বছরের বিপ্লব বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় জনগণের বিপুল অংশগ্রহণকে অলৌকিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি রোববার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পূর্ব আজারবাইজানপ্রদেশ থেকে তেহরানে আগত হাজার হাজার মানুষের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৩৯তম বিজয়বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছেএ দিবসের শোভাযাত্রায় জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে

এ সম্পর্কে সর্বোচ্চ নেতা আজ তার ভাষণে বলেন, এ বছরের বিপ্লব বার্ষিকীর শোভাযাত্রা ছিল অন্য বছরগুলোর তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদাতিনি বলেন, ৩৯ বছর পর এত বেশি জনতার অংশগ্রহণকে অলৌকিক ঘটনার মতো লাগছেবিশ্বের অন্য কোনো বিপ্লবের চার দশক পর এ ধরনের জনসমর্থন কখনো দেখা যায়নিকিন্তু ইরানের জনগণ রাজপথে নেমে বিপ্লবের প্রতি সমর্থনের ব্যাপারে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে আয়াতুল্লাহিল উজমা খোমেনী বলেন, জনগণের মধ্যে কোনো কোনো বিষয়ে হয়ত অসন্তোষ আছেকিন্তু যখনই বিপ্লব এবং ইসলামি শাসনব্যবস্থার প্রসঙ্গ এসেছে তখনই তারা ময়দানে নেমে নিজেদের শক্ত অবস্থানের কথা ঘোষণা করেছে


শেয়ার করুন

0 facebook: