সংস্থাটির প্রধান হ্যান্স-জর্জ মাসেন এক টিভি সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেছেন। খবর পার্স টুডের। মাসেনের এ সাক্ষাৎকার সোমবার প্রচারের কথা থাকলেও আগভাগে এর বিষয়বস্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে মাসেন বলেন, বার্লিনের উত্তর কোরীয় দূতাবাস দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির জন্য যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করেছে। এ ধরনের যন্ত্রাংশ সামরিক ও বেসামরিক উভয় কাজে ব্যবহার করা যায়। বিএফভির প্রধান বলেন, জার্মান কর্তৃপক্ষ সাধারণত এ ধরনের কাজ আটকে দেয়, কিন্তু আমরা সব ঘটনা শনাক্ত ও প্রতিহত করতে পারি বলে নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয়।
এদিকে মাসেনের দাবির বিষয়ে উত্তর কোরিয়া এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
এ ছাড়া গত বছরের আগস্টে উত্তর কোরিয়া একটি হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালানোর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পিয়ংইয়ংয়ের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর পরও বছরের শেষ দিকে উত্তর কোরিয়া একাধিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় যেগুলো দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানা সম্ভব। পিয়ংইয়ং দাবি করছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বা পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব নয়। নিষেধাজ্ঞার ফলে বরং উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: