05 February 2018

‘৪০০ টাকা ভিজিট' তবে কষ্ট হলে না দিলেও চলবে


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ছিমছাম পরিপাটি ডেস্কের উপরে লেখা ভিজিট ৪০০ টাকাকষ্ট হলে না দিলেও চলবে’ চেম্বারে রোগী দেখা মানেই হাজার হাজার টাকা ভিজিট’- কিন্তু আপনার এমন ধারণা বদলে দেবে এই চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকলে

সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেল ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘মায়ের পিত্তথলিতে পাথরকিডনি ডাক্তার মতিয়ার রহমানকে দেখানোর জন্য প্রায় দেড়মাস আগে সিরিয়াল দিয়ে আজ দেখাতে আসলামতবে ডাক্তার চেম্বারে ঢুকেই লেখাটি দেখে ভাল লাগলোবাকিটা আল্লাহ্‌ ভরসাপ্রফেসর ডা. মুহম্মদ মতিয়ার রহমান, ল্যাপারোসকপিক যন্ত্রের দ্বারা পিত্তথলি পাথর অপারেশনের অভিজ্ঞ সার্জনবর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দি বারাকাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং কোরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন

তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলল, মিজানুর রহমান সোহেলের পোস্টেইসেখানে কমেন্ট করে অনেকেই জানিয়েছেন, তাদের স্বজনরা অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেনতারা এই চিকিৎসকের প্রশংসাও করেছেন ডা. মতিয়ার রহমান খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি-ডুমুরিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালে যথাক্রমে ডুমুরিয়া হাই স্কুল ও খুলনাস্থ দৌলতপুর সরকারি বিএম কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেনএরপর ১৯৭৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন


সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর ১৯৭৯ সালে ইরাক চলে যান তিনি এবং ইরাকের জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চার বছর চাকরি করেনএরপর তিনি উচ্চশিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান এবং ১৯৮৬ সালে গ্লাসগো রয়েল কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস থেকে সার্জারিতে এফআরসিএস ডিগ্রী অর্জন করেনইংল্যান্ডে রেসিডেন্ট পারমিট থাকলেও তা ত্যাগ করে তিনি ১৯৮৭ সালে দেশে ফিরে আসেন১৯৮৮ সালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট হিসেবে যোগদান করেন


শেয়ার করুন

0 facebook: