07 February 2018

মন্ত্রণালয়কে ইচ্ছেমত চালাতে সেতু ভবনে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা!


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ গতকাল মঙ্গলবার আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার তাওহীদুল ইসলামকে সেতু ভবনে প্রবেশের দায়ে দেড় ঘন্টা আটকে রাখা হয়এরপর চলে দফায় দফায় জেরা। জানা যায় যে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু ভবনে সাংবাদিক প্রবেশের মনগড়া এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 

পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তিনি সেতু ভবন থেকে বের হনএর আগে প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার আনোয়ার হোসাইন ও সমকালের স্টাফ রিপোর্টার রাজীব আহম্মদকে নাজেহাল করা হয় এ প্রসঙ্গে তাওহীদুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, তিনি মঙ্গলবার সকালে সেতু ভবনে পেশাগত কাজ শেষে বের হওয়ার পথে তার পথ আটকান সেতু কর্তৃপক্ষের রিসিপশনিস্ট শহীদুলপদ্মা সেতু প্রকল্পে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শহীদুলের বক্তব্য, 'আপনাকে ঢুকতে দেয়ার কারণে আমার চাকরি চলে যাচ্ছে' এরপর তাওহীদকে নিয়ে যাওয়া হয় সেতু কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুল আলমের কক্ষে

মনিরুল আলম তখন এই সাংবাদিক কিভাবে ঢুকেছেন, কোন কোন অফিসারের কাছে এবং কী কাজে গেছেন তার ব্যাখ্যা চানপেশাগত কাজের কথা বলা হলে ক্ষেপে যান মনিরুল আলমএ সময় তিনি রিসিপশনিস্টকে নির্দেশ দেন, 'এরপর থেকে উনিসহ কোনো সাংবাদিক যেন ভেতরে ঢুকতে না পারে' এই কথার পর তাকে বলা হয়- সাংবাদিকরা সাধারণত সচিবালয়সহ যে কোনো স্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেনএক্রিডিটেশন কার্ড থাকলে পাশ নেয়ার প্রয়োজন হয় নাএকথার পর আরও উত্তেজিত হয়ে যান এই কর্মকর্তা তিনি বলেন, 'সাংবাদিকের সেতু ভবনে কোনো কাজ নেইদরকার মনে করলে দাওয়াত দেয়া হবেআর ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের সঙ্গে তার ভাই সম্পৃক্ত; যিনি যুগ্ম সচিবফলে সাংবাদিকতা সম্পর্কে তার বেশ জ্ঞান রয়েছে' এরপর সচিবের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি বাধা দেনতার রুমে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখেন

পরে পরিচালক (প্রশাসন) এম কায়সারুল ইসলামের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়তিনিও উপ পরিচালকের সুরে বলতে থাকেন- সাংবাদিকের ভেতরে কাজ নেইসুনির্দষ্টি কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে সংশস্নষ্টি কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে যেতে হয়' এরপর ভেতরে আটকে রাখাসহ ঘটনার বিস্তারিত ফোনে জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজকেতার হস্তক্ষেপে পরবর্তীতে সেতু ভবন থেকে বের হন এই প্রতিবেদক সাংবাদিক প্রবেশ নিয়ে এই অবস্থানের কারণ জানতে ফোন করা হয় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকেতিনি উল্টো জিজ্ঞেস করেন, সাংবাদিকের কাজ কী সেতু ভবনে? তথ্য সংগ্রহের কথা তুলে ধরলে তিনি বলেন, ব্রিফিং ছাড়া সাংবাদিকের কোনো কাজ থাকতে পারে না


শেয়ার করুন

0 facebook: