আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নেপালের
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১০ বাংলাদেশি বেঁচে আছেন। এর মধ্যে নয়জন যাত্রী ও বিমানের একজন ক্রু রয়েছেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২৬
বাংলাদেশি। সোমবার রাতে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে রাতে হতাহতের
তথ্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মুহম্মদ শাহরিয়ার আলম।
এদিন দুপুরে
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়া ইউএস-বাংলার
বিমানটিতে ৭১ আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে দুজন পাইলট ও দুজন ক্রুসহ ৩৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী বেঁচে থাকা বাংলাদেশি
যাত্রীরা হলেন- শাহরিন আহমেদ, আলমুন নাহার অ্যানি, মুহম্মদ শাহীন বেপারি, মো. রেজওয়ানুল হক, ইমরানা কবির হাসি, মেহেদী হাসান,
তার স্ত্রী সাইয়েদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, কবির হোসেন ও শেখ রাশেদ রুবাইয়াত এবং বিমানের প্রধান পাইলট
আবিদ সুলতান ও ক্রু কে এইচ এম শাফি। তবে মঙ্গলবার সকালে পাইলট আবিদের মৃত্যুর খবর আসে।
নিহত বাংলাদেশি
যাত্রীরা হলেন- মো. ফয়সাল আহমেদ, ইয়াকুব আলী, আলিফুজ্জামান, বিলকিস আরা,
নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম,
নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, মো. রকিবুল হাসান, হাসান ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম, আঁখি মনি,
মেহনাজ বিন নাসির, ফারুক আহমেদ
প্রিয়ক, তার মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী তামারা (শিশু), রফিক জামান, তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা,
তাদের ছেলে অনিরুদ্ধ জামান (শিশু), উম্মে সালমা, মতিউর রহমান, এসএম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভিন শশী রেজা, পিয়াস রায় ও মো. নুরুজ্জামান। এ ছাড়া বিমানটির কো-পাইলট
প্রিথুলা রশিদ ও ক্রু খাজা হোসেন নিহতের তালিকায় রয়েছেন।
দুর্ঘটনাকবলিত
ইউএস-বাংলার বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ মডেলের এস২-এজিইউ বিমানটি সোমবার দুপুর ১২টা
৫১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে
ছেড়ে যায়।
বিমানটি
স্থানীয় সময় সোমবার বেলা ২টা ১৮ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে নামার সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: