![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ সরকারি চাকরিতে
কোটা পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সরকারের প্রতিনিধিরা। সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার
পর বাংলাদেশ সচিবালয়ের সড়ক পরিবহন ও সেতু
মন্ত্রণালয়ের সভাপকক্ষে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীরা পাঁচ দফা
দাবি নিয়ে আলোচনায় বসেছেন।
বৈঠকে সরকার পক্ষে
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাড়াও রয়েছেন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজল
হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন।
আন্দোলনকারী
ছাত্রদের বিশ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র
অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
ছাত্রদের পক্ষে
কোটা সংস্কারের দাবিতে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো প্রথমত, কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ
থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসতে হবে। দ্বিতীয়ত, কোটায় কোনও ধরনের বিশেষ নিয়োগ দেওয়া যাবে না। তৃতীয়ত,
চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার
করা যাবে না। চতুর্থ, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট-মার্কস ও বয়সসীমা নির্ধারণ করতে
হবে এবং পঞ্চম দফা দাবি হলো, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না
গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধায় নিয়োগ দিতে হবে।
আন্দোলনকারী
ছাত্রদের বিভিন্ন দাবি সংবলিত পোস্টার-প্ল্যাকাডে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কোটা প্রথা সংস্কার চাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের
ঠাঁই নাই’, ‘স্বাধীনতা মূলমন্ত্র, বৈষম্যমুক্ত বাংলা গড়ো, কোটাপ্রথার সংস্কার করো’,ও ‘ছাত্র সমাজের এই দাবি কোটা
সংস্কারের দাবি, বাতিলের নয়।’
এ প্রসঙ্গে
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বাংলা
ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি সংস্কারের
কোনও পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। কোটা পূরণ না হলে মেধাতালিকার শীর্ষ থেকে
নেওয়া হবে।’
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: