![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। ভারতের সংবিধান থেকে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন (৩৭০ অনুচ্ছেদ) বাতিল করার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সমালোচিত ওই ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলে, ‘৩৭০ ধারা কার্যকরী থাকায় জম্মু-কাশ্মীর পেয়েছে শুধু সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ, পরিবারবাদ এবং দুর্নীতি। জনকল্যাণে সংসদে যেসব আইন তৈরি হত, তা কার্যকরী হত না উপত্যকায়। কেন্দ্রের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতেন না তারা। এমনকি, চাকরিতে সংরক্ষণ, তথ্য জানার অধিকারের মতো আইনও সেখানে কার্যকরী ছিল না। সেই সব থেকে মুক্ত হয়ে এক নতুন জম্মু-কাশ্মীর আত্মপ্রকাশ করেছে।’
কেন্দ্রের অধীনে থাকায় এখন জম্মু-কাশ্মীরে পরিকাঠামো, যোগাযোগ, ব্যবসা, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন গতি আসবে বলে দাবি করেছে নরেন্দ্র মোদি।
তবে বেশি দিন যে জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকবে না বলেও ইঙ্গিত দেয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
লাদাখের জন্য এই সব কল্যাণমূলক কাজ তো হবেই, তার সঙ্গে আলাদা করে সেখানকার ভেষজ সম্পদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলে, ‘লাদাখ হয়ে উঠতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার ভেষজ সম্পদ বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। সৌরশক্তি উৎপাদনে নতুন পথ দেখাতে পারে লাদাখ।’
এছাড়াও আলোচিত ওই রাজ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব বিষয়ে কেন্দ্রের সর্বোপরি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে মোদি।
কাশ্মীরবাসীর উদ্দেশে মোদি বলেছে, ‘আপনারা কখনই মনে করবেন না আলাদা। আপনাদের সুখ-দুঃখ আমাদেরও সুখ-দুঃখ।’
কাশ্মীরবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ধুমধাম করে ঈদ পালনের কথাও বলে মোদি।
আর সবশেষে উপত্যকার বাসিন্দাদের প্রতি মোদির আহ্বান, ‘আসুন সবাই মিলে সন্ত্রাসমুক্ত, বিচ্ছিন্নতাবাদমুক্ত এমন এক শান্তির উদ্যান গড়ে তুলি কাশ্মীরকে, যাতে সারা বিশ্বে নজির তৈরি হবে।’
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
কাশ্মীর
ভারত
0 facebook: