![]() |
প্রতীকি ছবি |
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ঘানার রাজধানী
আক্রার মসজিদগুলোতে মাইকে আজান না দিয়ে মোবাইলে এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা
দিয়ে নামাজের জন্য মুসল্লিদের ডাকতে বলা হয়েছে৷যদিও মুসলমানরা এই পরিকল্পনা
প্রত্যাখ্যান করেছে৷সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে শব্দদূষণ কমাতে এই পরিকল্পনা নেয়া
হয়েছে।
দেশটির
পরিবেশমন্ত্রী কোয়াবেনা ফ্রিম্পং-বোয়েটেং রোববার বলেন, টেক্সট কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে কেন নামাজের সময়সূচি জানানো যাবে না? ইমাম সবাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠাতে পারেন৷ এর ফলে শব্দ
কমবে৷ এটি হয়তো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মনে হতে পারে, কিন্তু এই বিষয়ে আমরা ভাবতে পারি৷
তবে আক্রার
মুসলমান সম্প্রদায় সরকারের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে৷ নোরা এনসিয়াহ নামে একজন
খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী বলেন, সকাল বেলায় মেগাফোন ব্যবহার
করে নামাজের জন্য মুসলমানদের ডাকার বিষয়টিকে আমি সমস্যা বলে মনে করি না। খ্রিষ্টানদের গির্জায়ও মেগাফোন
ব্যবহার করা হয়৷
আক্রার আরেক
বাসিন্দা কেভিন প্র্যাটও পরিবেশমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সবাই সামাজিক মাধ্যমে নেই৷ এছাড়া সবাই মন্ত্রীর মতো
শিক্ষিত নন যে, মোবাইল ফোনে পারদর্শী হবেন। বিষয়টি ভবিষ্যতে আইনের আওতায় আনা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে
ঘানার সরকার৷ মসজিদ ছাড়াও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে সৃষ্ট শব্দদূষণ কমানোরও
পরিকল্পনা করছে দেশটি৷
খ্রিষ্টানপ্রধান
ঘানার মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ মুসলমান৷ এর আগে রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে
লাউডস্পিকার ব্যবহার করে মসজিদে আজান দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সে দেশের
সরকার। রুয়ান্ডায় মুসলমানের সংখ্যা
মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ৷
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: