আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিয়ানমারের
প্রত্যন্ত উত্তরাঞ্চলে সেনাবাহিনী ও জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে শুরু
হওয়া সংঘর্ষের কারণে হাজার হাজার লোক বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা একথা
জানান। খবর এএফপি’র।
শুক্রবার রাতে
জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোঅপারেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) এর
প্রধান মার্ক কাটস বলেন, গত তিন সপ্তাহে মিয়ানমারের
উত্তরপ্রান্তে চীন সীমান্তের কাছে কাচিন রাজ্যে ৪ হাজারের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত
হয়েছে। এছাড়াও এর আগে বছরের শুরুতে ওই
অঞ্চলে সংঘর্ষ-সহিংসতার কারণে আরো প্রায় ১৫ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
২০১১ সালে
মিয়ানমার সরকার ও শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচান ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির মধ্যে
অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙে যাবার পর থেকে কাচিন ও শান রাজ্যের শরণার্থী শিবিরগুলোতে
আশ্রয় নেয়া অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যূত মানুষের সংখ্যা ৯০ হাজার অতিক্রম করেছে। এই সংঘর্ষে বেসামরিক মৃত্যুর
প্রতিবেদনগুলো যাচাই করতে পারেনি সংস্থাটি।
এছাড়াও
মিয়ামারের বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রোহিঙ্গায় বড় ধরনের সংকট চলমান
রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো
জানিয়েছে, মিয়ানামরে সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় সাত লাখ
রোহিঙ্গা মুসলিম প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনের
অভিযোগ উঠেছে। বাসস।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: