29 April 2018

৫ বছরে ২৫ কোটি রুপিতে হাতবদল হলো নয়াদিল্লির লাল কেল্লার


 আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বলা যেতেই পারে, নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার হাতবদলঘটে গেলবেসরকারি শিল্প সংস্থা ডালমিয়া ভারত গোষ্ঠী আগামী পাঁচ বছরের জন্য লাল কেল্লার সব রকমের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বাগিয়ে নিলএ জন্য পাঁচ বছরে সংস্থা খরচ করবে ২৫ কোটি রুপি

ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রণালয়, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই) এবং ডালমিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে চলতি মাসের ৯ তারিখে এ নিয়ে একটা চুক্তি হয়েছেচুক্তি অনুযায়ী ডালমিয়া গোষ্ঠী লাল কেল্লার সৌন্দর্য বর্ধন করবেনানা রকম আলো দিয়ে এই ঐতিহাসিক সৌধকে সাজিয়ে তুলবেপর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়গুলোতে নজর দেবেনানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে কেল্লা চত্বরে বছরভরপর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে যা যা করণীয়, সবই করবে ওই সংস্থাকেল্লায় ঢোকার টিকিট কত, তা-ও ঠিক করবে ওই সংস্থা

দেশের বিভিন্ন সৌধের বছরভর রক্ষণাবেক্ষণ, সৌন্দর্যবর্ধন এবং দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে গত বছর কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিনব প্রকল্প গ্রহণ করেনাম দেওয়া হয় অ্যাডপ্ট আ হেরিটেজবা ঐতিহ্য দত্তক নেওয়ারাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ গত সেপ্টেম্বরে ওই প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন

পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২৪ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সৌধের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শুধু শিল্পগোষ্ঠীই নয়, ব্যক্তি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসার আগ্রহ দেখিয়েছেলাল কেল্লার মতো যে ৯৫টি ঐতিহাসিক সৌধকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে তাজমহল, কুতুব মিনার, কোনারকের সূর্য মন্দির, হাম্পি স্থাপত্য, অজন্তা গুহা, হায়দরাবাদের চার মিনার, কাজিরাঙা জাতীয় পার্কওই বিজ্ঞপ্তিতেই লাল কেল্লা নিয়ে চুক্তির কথা জানানো হয়তাজমহলের ভার কার হাতে যাবে এবং কত টাকায়, তা এখনো ঠিক হয়নিদুই দাবিদার আইটিসি ও জিএমআর স্পোর্টস

প্রতিবছর ১৫ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লা থেকে ভাষণ দেনওই রীতি অবশ্যই বহাল থাকবেসে জন্য জুলাই মাসের শেষে লাল কেল্লার দায়িত্ব নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে

ঐতিহ্যপূর্ণ সৌধগুলোর দায়িত্ব যারা পাবে, সরকারিভাবে তাদের সৌধ মিত্রবলা হচ্ছেদেশের ঐতিহ্যের এভাবে বেসরকারীকরণ বিতর্কও সৃষ্টি করেছেকংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজেপির দৈন্য কী প্রকট তা এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়েই স্পষ্টমুসলমান সমাজ থেকেও কেউ কেউ আপত্তি তুলেছেনযদিও অনেকেই আবার মনে করছেন, এর ফলে সৌধগুলোর উন্নতি হবেপর্যটকদেরও সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যও বাড়বেএএসআইয়ের ওপর থেকে চাপও কমবে


শেয়ার করুন

0 facebook: