আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিয়ানমারে চীনা সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহী দল তাং ন্যাশনাল আর্মির (টিএনএলএ) হামলায় কমপক্ষে ১৯জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৯জন। আহতদের মধ্যে ২০জনই বেসামরিক লোক বলে জানা গেছে। মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে খবরটি জানিয়েছে সিএনএন।
সিএনএন-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। শনিবার শান প্রদেশের মিউজ শহরে এই ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ১৫ মিনিটে তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির প্রায় ১০০ জন্য সৈনিক উত্তর মিয়ানমারের চীনা সীমান্তবর্তী শহর মিউজে জমায়েত হয়।
খবরে বলা হয়, শনিবার মিউজ শহরে তিন দফা হামলা চালায় টিএনএলএ। টিএনএলএ’র মুখপাত্র মাই আইক কিয়াও বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তারা একটি সামরিক পোস্ট ও শহরের বাইরে অবস্থিত একটি ক্যাসিনোতে হামলা চালিয়েছে।
এ হামলাটি চালিয়েছে সম্প্রতি কাচিন স্টেটে মিলিটারির দুঃশাসনের প্রতিবাদ হিসেবে। সম্প্রতি কাচিনস্টেটে হয়ে যাওয়া সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার ৬,৮০০ এর মতো মানুষকে জায়গাটি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল।
উল্লেখ্য, টিএনএলএসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীভিত্তিক বিদ্রোহী দল বহু বছর ধরেই স্বায়ত্তশাসনের জন্য সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে। অং সান সুচি ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন, মিয়ানমারের ভেতরকার সংঘাত দূর করা তার প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে থাকবে। কিন্তু তিনি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে দেশ পরিচালনা করেন। আর সামরিক বাহিনীই এতদিন ধরে বিদ্রোহীদলগুলোর সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে।
২০১৭ সালে প্রকাশিত এশিয়া ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদন অনুসারে, মিয়ানমারে এক তৃতীয়াংশেরও বেশি শহরই দীর্ঘ সময় ধরে সংঘাতে জর্জরিত। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুচি দুটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর যুদ্ধ বিরতির চুক্তি করাতে সক্ষম হন। ক্ষমতা গ্রহণের আগে আরও আটটি সম্প্রদায়ের সঙ্গে এমন চুক্তি সম্পন্ন করেছিলেন তিনি।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: