আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের নিহতের ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত একটি ‘স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের’ প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠককে সামনে রেখে কুয়েত প্রস্তাবটি খসড়া তৈরি করে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্টের।
জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস খোলার ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ‘ক্ষোভ ও দুঃখ’ প্রকাশ করে ওই খসড়া তৈরি করে কুয়েত। ওই বিবৃতিতে দশক পুরনো নিরাপত্তা পরিষদের একটি রেজ্যুলেশন মেনে নিতেও সব দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ওই রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছিল যে বিবদমান পবিত্র শহরে যেন কোনো কূটনীতিক মিশন স্থাপন না করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতিসংঘের দুজন কূটনীতিক এপি’কে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত ওই খসড়ার ব্যাপারে সর্বসম্মতিতে একমত হতে ব্যর্থ হয়েছে সব পক্ষ। নিরাপত্তা পরিষদের ওই খসড়ায় লেখা ছিল, ফিলিস্তিনি জনগণের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদ ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করছে। খসড়া প্রস্তাবে গাজায় হামলার ঘটনার একটি স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়েছিল। একইসঙ্গে ‘সব পক্ষকে ধৈর্যধারণে’ আহ্বান জানানো হয় ওই খসড়ায়।
তবে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ও জামাতা জারেড কুশনারসহ একটি প্রতিনিধি দল জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তির’ কথা বললেও ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধের পর ১৪ মে ছিল ওই অঞ্চলে সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন।
ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবারের ওই বিক্ষোভে আরও প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা দূতাবাস খোলার অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী বেড়ার কাছে জড়ো হলে তাদের ওপর গুলি কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা বিক্ষোভকারীদের ছদ্মবেশে হামাস জঙ্গিদের হাত থেকে সীমান্ত রক্ষা করছিল। তারা বলছে, ওইদিন ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি ‘সহিংস দাঙ্গায়’ অংশ নেয়। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা বেড়া ভাঙতে সক্ষম হয়।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: