স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের
সীতাকুণ্ডে নিজেদের বন্যপ্রাণী ধরার ফাঁদে পড়ে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাটিয়ারীতে একটি পাহাড় এলাকা থেকে
পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতরা হলেন-রাঙ্গামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার জগানাছড়ি গ্রামের অনুমং মারমার
ছেলে ক্যাসাচিং মারমা (৪২) ও একই এলাকার সিদাপাহাড় গ্রামের মংহুগ্র মারমার ছেলে
উবাচিং মামরা (৪০)।
জানা গেছে, ভাটিয়ারী গলফ ক্লাব থেকে আধা
কিলোমিটার দূরে সড়কের পাশে পাহাড়ের নিচে ফেলা হতো ময়লা-অবর্জনা। আর ওই সব আবর্জনা খেতে রাতে সেখানে সজারু, বন্যহাতি ও শুকরসহ নানা ধরনের
বন্যপ্রাণী আসত। এসব বন্যপ্রাণীকে ধরার জন্য
ফাঁদ পেতে বসে থাকত ওখানে বসবাসকারী কয়েকজন যুবক।
বৃহস্পতিবার
ভোররাতে বন্যপ্রাণী ধরার জন্য, চিকন তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনার
স্থানটি ঘেরাও করেন। পরে দুর্ঘটনাক্রমে তারে জড়িয়ে
তারা দুজন নিহত হন। এ সময় তাদের হাতে বল্লম ও কোচ (ছয়
শিকযুক্ত বন্যপ্রাণী মারার যন্ত্র) ছিল।
সীতাকুণ্ড মডেল
থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান স্যানমারের মালিকানাধীন পাহাড়ে সাত
যুবক বসবাস করত। তারা প্রতি রাতে বৈদ্যুতিক
তারের ফাঁদ পেতে সজারু, বন্যহাতি ও শুয়রসহ নানা ধরনের বন্যপ্রাণী ধরত। ধরা পড়া ওই বন্যপ্রাণীগুলো তারা খেত।
বৃহস্পতিবার
রাতে দুই যুবক বন্যপ্রাণী ধরার জন্য ঘটনাস্থলে এলে তাদের দেয়া বৈদ্যুতিক তারে
জড়িয়ে ওই দুই পাহাড়ি যুবক মারা যায়। নিহত দুই যুবককে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
চট্টগ্রাম বিভাগ
বিভাগীয় সংবাদ
0 facebook: