27 May 2018

প্রয়োজন ছাড়া সিজার করলে হাসপাতাল বন্ধঃ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

ফাইল ছবি
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ অপ্রয়োজনীয় সিজার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকপ্রয়োজনে হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি

রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুশিয়ারি দেনজাহিদ মালেক বলেন, দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৭০-৮০ শতাংশ গর্ভবতীকে বাচ্চা প্রসবের জন্য সিজার করা হচ্ছেনিরাপদ মাতৃত্বের জন্য এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনকএটি কখনই আমাদের কাম্য নয়

স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব প্রতি হাজারে ১৫-২০ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অকারণে সিজার কমাতে আমরা একটি ফর্ম তৈরি করে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে পাঠিয়েছিসেখানে রোগীর পুরো তথ্য দিতে হবেঅপ্রয়োজনে সিজার করে মায়ের ক্ষতি করে দিলেন, কেন তাকে সিজার করতে হলো, কি কি অসুবিধা ছিল, মায়ের অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা, স্বামীর অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা, কি কি জটিলতা ছিল- সব কিছু উল্লেখ করতে হবেএই ফরমটি আমাদের কাছে এলে তা দেখার পর বোঝা যাবে অপারেশনটি প্রয়োজন ছিল কিনাএ ছাড়া আমরা হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দিয়েছি বিনাকারণে, অপ্রয়োজনে সিজার না করার জন্য

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে সিজারের হার অনেক বেড়ে গেছেপ্রাতিষ্ঠানিক বাচ্চা প্রসব হয় ৪২ শতাংশসরকারি হাসপাতালে ২৫-৩০ শতাংশ মায়ের সিজারে বাচ্চা প্রসব করানো হয়আমরা সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব কমাতে মিডওয়াইফ তৈরির ওপর জোর দিয়েছিচিকিৎসকের মাধ্যমে করাতে গেলেই সিজারে চলে যায়কারণ চিকিৎসকরা সময় দিতে চান নাএকটি দিন ধৈর্য ধরেনবিশ্বব্যাপী প্রসবগুলো মিডওয়াইফরাই করে থাকেনএ জন্য ৩৪ হাজার মিডওয়াইফকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছে

তিনি বলেন, গর্ভবতী ও প্রসব-পরবর্তী সেবার জন্য সারা দেশের ৩৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে বিনামূল্যে ওষুধ এবং পরামর্শ দেওয়া হচ্ছেদরিদ্র মায়ের পুষ্টিহীনতা দূর করতে মাতৃত্বকালীন ভাতা ও প্রসবের সময় হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয়া হচ্ছেমাতৃমৃত্যু হার এখন হাজারে ১৭৬ ও শিশুমৃত্যু ২১ জনসহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে শিশুমৃত্যু হার ১২ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবেজাহিদ মালেক বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, সব ধরনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা ও পোশাক কারখানায় ব্রেস্টফিডিং কর্নার করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে


শেয়ার করুন

0 facebook: