মাজেদুল হকঃ মহাবীর আলেকজান্ডার ভারত বধ করতে এসে যেমন মগধ রাজ্যে এসে দলের মতানৈক্যের কারণে ফিরে গিয়েছিলেন, তেমনি সক্রেটিসের মৃত্যুদণ্ড বা ইদি আমিনের ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই, সবকিছুরই রাজনীতিতে পুনরাবৃত্তি ঘটে। হয় অন্য দেশে বা নিজ ভূখণ্ডেই। তাই রাজনীতি বিজ্ঞানের একটি জনপ্রিয় সূত্র হচ্ছে, 'ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।' একারনেই রাজনীতিতে বারবার বলা হয় ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা।
টক অব দ্যা কান্ট্রি নয়, শুধু এই সময়টায় দুনিয়াজুড়ে সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলায় দণ্ডের ঘটনা। ৪০ বছর পার করা এই দলটি এখন সবচেয়ে দুর্দশার সময়টি পার করছে বলে ধরেই নেওয়া যায়। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান খুন হওয়ার পর থেকে এতো বড় শঙ্কায় আর পড়েনি দলটি। দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশে স্বাধীনতার দাবি আর আন্দোলনের মধ্যদিয়ে গড়ে ওঠা একটি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যেখানে সংগ্রামের পথে নতুন নতুন নেতারা এসে দলটিকে শক্তি জুগিয়েছেন। দীর্ঘ পথে ত্যাগের অনেক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তারা।
অন্যদিকে সামরিক ক্ষমতাকে গণতন্ত্রের মোড়ক দিতে সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। জাগদলের ব্যর্থতার পর ৭৮ সালে গঠন করা হয় বিএনপি। রমনায় আত্মপ্রকাশ করলেও দলটির নকশা করা হয়েছিল সেনানিবাসের এলিট ক্লাস থেকেই। ব্যবসায়ী, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাসহ অন্য পেশাজীবীদের নিয়ে গঠন করা একটি দল। যেখানে জিয়াউর রহমান ডানপন্থি, বামপন্থি, সুবিধাপন্থি সব মতের সমন্বয় করেন। আওয়ামী লীগের গাঁয়ে যখন ভারতপ্রীতি আর রাশিয়া ঘেঁষার একটি ছোঁয়া লেগে ছিল, তখনই দলটি মধ্যপ্রাচ্য ঘেঁষা এক রাজনীতির আবর্তন করে।
তবে আওয়ামী লীগ শিকড় থেকে গাছের মগডালে ওঠা দল হওয়ায় ভিত যতোটা দৃঢ় থাকলো, মগডাল থেকে শিকড়ে নামার প্রচেষ্টায় থাকা বিএনপির ভিত কিন্তু নড়বড়েই থাকলো। তবে এলিট ক্লাসের বুদ্ধিদীপ্ত মাথাগুলো টিকিয়ে রাখলো দলটিকে।
৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরও কিন্তু বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। কিছু বুদ্ধিদীপ্ত নেতা দলটিকে জাগিয়ে রেখেছিলেন। যার হাল ধরেন ১৯৮৩ সালে খালেদা জিয়া। বিএনপির গাঁয়ে সেনানিবাসের যে প্রলেপ ছিল, সেখান থেকে জনগণের মাঝে নিয়ে আসতে কিন্তু অনেকটাই
0 facebook: