05 June 2018

ফিলিস্তিনি কবরস্থানে ‘জাতীয় উদ্যান’ বানাচ্ছে ইসরাইল



স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ফিলিস্তিনি সংবাদসংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে ‘জাতীয় উদ্যানবানানোর জন্য দখলে নেয়া ফিলিস্তিনিদের বাব আল রাহমাকবরস্থানটিতে আবার কাজ শুরু করেছে ইসরাইল। দেশটির নেচার অ্যান্ড পার্ক অথরিটি’ (আইএনপিএ) দখলকৃত পূর্ব জেরুসালেমে অবস্থিত কবরস্থানটির একাংশে খোঁড়াখুঁড়ি করছে। প্রায় ২০ দিন আগে আইএনপিএর কর্মকর্তারা কবরস্তানটিতে এসে উপস্থিত হয়।

২০১৫ সালেই বাব আল রাহমা নামের কবরস্থানটি ধ্বংস করে সেখানকার জমি জাতীয় উদ্যানে যুক্ত করার কথা জানিয়েছিল ইসরাইল। গত মাসে কবরস্থানটির একাংশ দখলে নিয়ে ওই স্থানটির চার পাশে ধাতব বেড়া স্থাপন করা হয়। গতকাল থেকে তারা কবরস্থানের মাটির সঙ্গে সঙ্গে মৃত ফিলিস্তিনিদের কবরও খুঁড়ে ফেলছে। তাদের দাবি, তারা জাতীয় উদ্যান বানানোর কাজ করছে। ওয়াফা লিখেছে, জাতীয় উদ্যান বানানোর জন্য তারা যে স্থানে কাজ করছে সেই স্থানে শতাব্দী প্রাচীন ফিলিস্তিনি নেতাদের কবরস্থ করা হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডিল ইস্ট মনিটর লিখেছে, জাতিসঙ্ঘের বহুসংখ্যক প্রস্তাবনাতে পূর্ব জেরুসালেমকে অধিকৃত এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানকার কোনো জমিতে স্থাপনা তৈরির আইনগত বৈধতা নেই ইসরাইলের।

গাজায় বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা ইসরাইলের

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কাছেই বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন ইসরাইলের গৃহায়নমন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট। গাজায় সাম্প্রতিক ব্যাপক বিক্ষোভ ও ২০১৪ সালের পর সব থেকে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর এমন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ইসরাইল হায়োমের খবরে বলা হয়, ইসরাইলের নিরাপত্তা বিভাগের সদস্য ইয়োয়াভ গালান্ট রোববার এ পরিকল্পনা জমা দেয়ার কথা ছিল। পরিকল্পনা মতে, গাজা থেকে সাত কিলোমিটারের মধ্যে ৫০০ পরিবারের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করা হবে। গালান্ট আশা করেন, কিবাৎজ সাদের কাছেই এ বসতি স্থাপন করতে পারবেন। ওই স্থানেই গাজা থেকে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

গাজায় বিক্ষোভে ১২০ জনের বেশি মানুষকে হত্যার পর এবার গাজার পাশেই বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। শনিবার ফিলিস্তিনি নার্স রাজান আল নাজ্জারের নামাজে জানাজায় অংশ নেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। সীমান্তের কাছে দায়িত্ব পালনের সময় তাকে গুলি করে হত্যা ইসরাইলি বাহিনী। শনিবার সন্ধ্যায় গাজা থেকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয় দাবি করে তার জবাবে গাজার তিন স্থানে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। গাজা থেকে হামলার ঘটনায় কোনো পক্ষ দায় স্বীকার করেনি। গত ৩০ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনিদের ছয় সপ্তাহে মার্চ অব রিটার্ন বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। আন্দোলনে কোনো ইসরাইলি নিহত না হলেও কিছু সেনা সামান্য আহত হয়েছেন।


শেয়ার করুন

0 facebook: