23 June 2018

মালয়েশিয়ার মুসলমানদের প্রাণপ্রিয় নেতা এরদোগানঃ আংকারায় আনোয়ার ইব্রাহিম

আঙ্কারায় ঘনিষ্ট মুহূর্তে এরদোগান-আনোয়ার ইব্রাহিম!!!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, এরদোগান মালয়েশিয়ার মুসলমান এবং বাইরের মুসলমানদের প্রাণপ্রিয় নেতা। অত্যন্ত সাহসী এই নেতার জনপ্রিয়তার কারণ হলো তিনি ফিলিস্তিনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছেন।

তুরস্কে সফররত মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানের সাথে সাক্ষাত করেছেন। তিনি এরদোগানকে সাহসী নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বিশ্ব শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার হিম্মতের জন্য প্রশংসা করেছেন।

তুরস্কের আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও আগামী সংসদীয় নির্বাচনে এরদোগানকে তিনি সমর্থন করেছেন এবং তার বিজয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, এরদোগানই একজন নেতা যিনি বিশ্ব মোড়লদের বিরুদ্ধেও অবস্থান নেয়ার সাহস দেখিয়েছেন। বিশ্বে খুব কম সংখ্যক নেতাই আছে যারা ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করতে এগিয়ে যাওয়ার সৎ সাহস রাখেন।

আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাত করার জন্য তুরস্কে এসেছি, তিনি আমার একজন বন্ধুও। আমি যখন জেলে ছিলাম তখনই তিনি আমাকে স্ত্রী ও কন্যাসহ তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এরদোগান যখনই মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক অথবা উপ-প্রধানমন্ত্রী জাহিদ হামিদির সাথে দেখা করেছেন তখনই আমার মুক্তির ব্যাপারে কথা বলেছেন। জেল থেকে মুক্তি পাবার পর তিনি আমাকে যত দ্রুত সম্ভব তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান।

আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, জেলখানা অবশ্যই দুনিয়ার কারাগার। আমি সবসময় বলি, স্রষ্টা দয়ালু এবং সাহায্যকারী। কিন্তু নিয়ম খুবই কঠিন। জেলে আপনি ওজন হারাবেন, আপনি অসুস্থ হবেন, আপনি আহত হবেন, অনেক সমস্যা হবে। অনেকেরই জেলের অভিজ্ঞতা আছে। রিসেপ তায়্যেব এরদোগানেরও জেলের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যা আমাদেরকে আরো ধৈরর‌্যশীল, প্রজ্ঞাবান, সাহসী বানায় এবং যোগ্য নেতা হিসেবে তৈরি করে।

আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, এরদোগান বিশ্বে বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। আমি তিউনিসিয়া, পাকিস্তান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশেই বলেছি- এরদোগান মুসলিম বিশ্বের সাহসী কণ্ঠস্বর। রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে আপনি স্বীকার করেন কিংবা না করেন সেটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু এরদোগানই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ফিলিস্তিনের দখলদার ও তর মিত্রদের বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের পক্ষে কথা বলেন।

আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, প্রতিটি দেশেরই নিজেদের ভাগ্য গড়ার সক্ষমতা থাকা উচিৎ। আমি চাই না আমি কিংবা আমার দেশ পশ্চিমাদের এজেন্ডা, চাইনিজদের এজন্ডা, আমেরিকানদের এজেন্ডা কিংবা যুক্তরাজ্যের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করুক। তুরস্কের জনগণই ঠিক করবে তুরস্কের ভবিষ্যত কী হবে। পশ্চিমারা কিংবা লিবারেল এজেন্ডা দ্বারা তুরস্ক পরিচালিত হবে না।


শেয়ার করুন

0 facebook: